সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১২:০০

রুপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর বাসের সুপারভাইজারকে সাড়ে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।  তিনি জরিমানাকৃত অর্থ রুপার পরিবারকে দেওয়ারও আদেশ দিয়েছেন এবং যে বাসে রুপাকে ধর্ষণ করা হয় সে বাসটি তার পরিবারের নামে নাম পরিবর্তন করে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন— ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫) এবং হেলপার আকরাম (৩৫), শামীম (২৬) ও জাহাঙ্গীর (১৯)।

প্রসঙ্গত, গত বছর ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপাকে ওই দণ্ডপ্রাপ্তরা ধর্ষণ করে এবং বাসেই তাকে হত্যার পর টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মৃত দেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় তরুণী হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার দুই দিন পর রুপার বড়ভাই হাফিজুর রহমান একটি জাতীয় দৈনিকে মধুপুরে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধারের খবর দেখে মধুপুর থানায় যান। সেখানে গিয়ে তিনি রক্তাক্ত লাশের ছবি ও সালোয়ার-কামিজ দেখে শনাক্ত করেন যে এই তরুণীই তার বোন। ৩১ আগস্ট রুপার মরদেহ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাড়াস উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

এর আগে- ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের ড্রাইভার হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫), হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত