সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১৬:৪৪

সেই বাসটি পাচ্ছে রুপার পরিবার

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত যে বাসে জাকিয়া সুলতানা রুপাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, সেই বাসটি রূপার পরিবারকে দিয়ে দেয়ার আদেশ এসেছে আদালত থেকে। এ ছাড়া এক আসামিকে করা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও পাবে রূপার পরিবার।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এই মামলায় বাসের চালক ও তার সহযোগীসহ চার জনের ফাঁসি, এক জনের সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এ আদেশও দিয়েছেন টাঙ্গাইলের একটি আদালত।

গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৩৯৬৩) এই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠে। এই বাসটির মালিকানা পাচ্ছে রুপার পরিবার।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া যাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন তারা হলেন ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর রহমান, তার সহকারী শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর।

অপর আসামি ওই পরিবহনের সুপারভাইজার সফর আলীকে দেয়া হয় সাত বছরের কারদণ্ড। সেই সাথে সফর আলীকে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে রূপার মরদেহ ফেলে রেখে যায়।

এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত নারী হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে রুপার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে রুপার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন।

গত ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত