সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ এপ্রিল, ২০১৮ ২২:৩০

দুই বাসচালক আটক, রাজীব ঢাকা মেডিকেলে

ছবি: প্রথমআলো অনলাইন

রাজধানীর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেনের (২১) হাত বিচ্ছিন্ন করে নেওয়া সেই দুই বেপরোয়া বাসচালককে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। বুধবার (৪ এপ্রিল) তাদেরকে আটক করা হয়।

আটক দুই বাসচালক হলেন ওয়াহিদ ও খোরশেদ। ওয়াহিদ বিআরটিসি বাসের চালক আর খোরশেদ স্বজন পরিবহনের বাসের চালক। শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী দু’জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে রাজীবকে বুধবার (৪ এপ্রিল) শমরিতা হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান শাহবাগ থানার এই কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে দুই বাসের চাপে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তিতুমীর কলেজের স্নাতক (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেনের। দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর বাংলামটরের দিক থেকে ফার্মগেটমুখী একটি দ্বিতল বিআরটিসি বাস সার্ক ফোয়ারার কাছে পান্থকুঞ্জের পাশে সিগনালে থেমে ছিল। সে বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন রাজীব।

খানিকবাদেই একই দিক থেকে আসা স্বজন পরিবহন নামের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে দ্বিতল বাসের বাঁ পাশের ফাঁক দিয়ে ঢুকে সামনে যাওয়ার (ওভারটেক) চেষ্টা করে। দুই গাড়ি তখন টক্কর দিতে গেলে চাপে পড়ে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ফটকে দাঁড়ানো রাজীবের। হাতটি দ্বিতল বাসের সঙ্গে ঝুলছিল তখন। তাৎক্ষণিকভাবে রাজীবকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হলেও হাতটি আর জোড়া লাগানো যায়নি। ওইদিনই রাজীবের অস্ত্রোপচার করা হয়।

এদিকে, আজ (বুধবার) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহুরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানো তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের চিকিৎসা ব্যয় ওই দুই বাস মালিককে (বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহন) বহন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হাত হারানো রাজীবকে কেন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন।

রুলে সাধারণের চলাচলে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে কার্যকরে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনে আইন সংশোধন ও নতুন করে বিধিমালা প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত