সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৪:৪৯

ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ২০ শ্রমিকের সন্ধান মেলেনি ৫ দিনেও

পাঁচদিনেও সন্ধান মেলেনি মুন্সীগঞ্জের চরঝাঁপটার মেঘনা নদীতে তেলবাহী জাহাজের ধাক্কায় মাটিভর্তি ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ২০ শ্রমিকের। তাদের সন্ধানে চতুর্থদিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে।

নদীর বিভিন্ন স্থানে নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন। উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়, নৌযান শনাক্তকারী বিশেষ জাহাজ অগ্নিশাসকও রয়েছে উদ্ধার অভিযানে। পাশাপাশি বিআইডাব্লিউটিএর সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সাইড স্ক্যান সোনার মাধ্যমে ট্রলারটির অবস্থান শনাক্তের চেষ্টাও চালাচ্ছে।

নৌবাহিনীর ১টি, বিআইডব্লিউটিএর ২টি ও ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিটের সঙ্গে যৌথভাবে উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে জেলা প্রশাসন, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড।

ট্রলার চালকের অনুপস্থিতি এবং ঘাতক তেলবাহী জাহাজটিকে শনাক্ত করা না যাওয়ায় ট্রলারডুবির নিদিষ্ট স্থানও নিশ্চিত করতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা।

জানা গেছে, গত সোমবার কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ট্রলারে মাটি তুলে ৩৪ জন শ্রমিক নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী যাচ্ছিলেন। ট্রলারটি ওই দিন রাত ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জের চরঝাঁপটার মেঘনা নদীতে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী জাহাজ সেটিকে ধাক্কা দিয়ে চাঁদপুরের দিকে চলে যায়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে ১৪ জন সাঁতরে প্রাণে বাঁচলেও ট্রলারটির কেবিনে  ঘুমন্ত ২০ শ্রমিকের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। নিখোঁজ শ্রমিকদের অধিকাংশেরই বাড়ি পাবনা জেলায়।

এদিকে সোমবার রাতের ট্রলারডুবি হলেও ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসে বুধবার।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান সাদিক জানান, শনিবার সকাল থেকে চতুর্থদিনের মতো বিআইডব্লিউটিএ ও নৌবাহিনীর এক্সপার্ট টিম মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, নির্দিষ্ট স্থান না জানায় পুরো মেঘনা নদী চষে বেড়ানো সম্ভব নয়। তারপরও দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে খোঁজা হয়েছে। কিন্তু কোন সন্ধান মেলেনি।  তাদের খোঁজ পেতে ট্রলার চালককে আটক বা ঘটনাস্থলে তার উপস্থিতি দরকার।

এদিকে শরীয়তপুরের শিবচর উপজেলার হাজী শুক্কুর হালদারকান্দির মৃত করিম বেপারীর ছেলে ট্রলারের চালক হাবিব বেপারী দুর্ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশিদ জানান, বেআইনিভাবে বেপরোয়া গতিতে নৌযান চালিয়ে প্রাণহানি ও দুর্ঘটনা ঘটনোর দায়ে শুক্রবার রাতে বেঁচে যাওয়া ট্রলারের যাত্রী শাহ আলম বাদী হয়ে ট্রলারচালক হাবিব বেপারী,  ট্রলারের মালিক জাকির দেওয়ান ও তেলবাহী জাহাজের চালককে (অজ্ঞাত) আসামি করে গজারিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত