সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৪:১২

প্রশ্নের পেছনে দৌড়ালে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হবে: র‌্যাব ডিজি

এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে কোন ছাত্র-ছাত্রীকে প্রশ্নের পেছনে না দৌড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, "কোন ছাত্র-ছাত্রী প্রশ্নফাঁসের পেছনে দৌড়াদৌড়ি করবেন না। গতবছরের মতো এবারো এ ধরনের অপপ্রয়াস দেখলে শিক্ষার্থীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। এর ফলে নবীন বয়সেই কারো ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাক তা আমরা চাই না।"

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।

এসময় তিনি বলেন, "এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে প্রশ্নফাঁস রোধে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি সাইবার পেট্রোলিং ও আন্ডারকভার অপারেশন চলমান রয়েছে। প্রশ্নফাঁসের মতো অপকর্ম করে পার পাওয়া খুব কঠিন হবে। প্রশ্নফাঁস রোধে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে র‌্যাব, দু’এক দিনের মধ্যেই যার ফলাফল দেখা যাবে বলেও জানান তিনি।"

র‌্যাব ডিজি বলেন, "যে কোনো সরকারি পরীক্ষা এলেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এ ধরনের অপচেষ্টা রোধে সরকার গৃহীত নানা পদক্ষেপের সঙ্গে র‌্যাবও যুক্ত হয়। সবার সার্বিক তৎপরতায় গতবছর এ হুমকি নস্যাৎ করতে পেরেছি। এবারও এ সংগ্রামে আমরা সামনে থাকবো।"

শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "গতবছর কয়েকজন শিক্ষককে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাদের আমরা শিক্ষক প্রতিনিধি বলে মনে করি না। আশা করবো এ ধরনের অপকর্মে শিক্ষকরা জড়িত হবেন না।"

গতবছর প্রশ্নফাঁসবিরোধী অভিযানে সারাদেশে ১২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবারো এ ধরনের সংশ্লিষ্টতায় গ্রেপ্তার করা হবে। তাই শত প্রলোভনের মধ্যেও অভিভাবক, ছাত্র ও শিক্ষকদের সযত্নে এ ধরনের অপকর্ম থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

র‌্যাব প্রধান বলেন, "র‌্যাব নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি অন্য গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে তথ্য সংগ্রহ করে তৎপর রয়েছে। প্রত্যেকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিংয়ে র‌্যাবের সক্ষমতা রয়েছে।"

"গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি সাইবার পেট্রোলিং ও আন্ডারকভার অপারেশন চলমান। পরীক্ষার সময় হল পরিদর্শনে র‌্যাবের অফিসাররা যাবেন। সেখানে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলবেন। এ ধরনের তথ্য থাকলে আমাদের জানাবেন, যেন শুরুতেই সমূলে উৎপাটন করতে পারি।"

বেনজীর আহমেদ বলেন, "অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশ্নফাঁসের নামে প্রতারণা করে টাকা নিয়ে যায়। এটাও এক ধরনের জঘন্য অপরাধ, যাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

র‌্যাব ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, "আমাদের তৎপরতা বলবত রয়েছে, দু’একদিনের মধ্যে এর ফলাফল দেখতে পাবেন। এ ধরনের অপকর্ম করে পার পাওয়া খুব কঠিন হয়ে যাবে, আই ক্যান চ্যালেঞ্জ।"

"কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে, তারপরেও শহরের অলিতে গলিতে কোচিং বন্ধ রেখেও কেউ অপকর্ম করে কি না, র‌্যাবের নজরদারী থাকবে। আমরা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে যাবো এবং ব্যবস্থা নেবো।"

অনেক অপরাধ থেকেই বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। সবার সার্বিক প্রচেষ্টায় প্রশ্নফাঁসের মতো জঘন্য অপরাধ বিলুপ্ত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন র‌্যাব প্রধান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত