১৮ মে, ২০১৯ ২০:০৮
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অফিসার পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এনে তা বাতিল করে পুনরায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের একাংশ।
শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে পরীক্ষা বাতিল ও পুনরায় পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন নিয়োগ প্রার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগ পরীক্ষার বেশকিছু অসঙ্গতি তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য দেন ডা. মাইনুল হাসান। তিনি বলেন, ফলের তালিকায় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ছেলে, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের জামাতা, উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী-২-এর স্ত্রী প্রথম সারিতে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ৬ মাস আগে বিএসএমএমইউতে বিতর্কিত প্রশ্নপত্রে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার নির্ধারিত দিনের চার দিন আগে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের উপস্থিতিতে একটি কক্ষে প্রশ্নপত্র খোলা হয়। এখানে বিতর্কিত প্রার্থীদের প্রশ্নপত্র দেখানো হয়। এ ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে উত্তরপত্র সরবরাহের ঘটনাও ঘটেছে। আমরা এ প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ পরীক্ষা অবিলম্বে বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষার দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারিত থাকলেও বিদ্যুৎ কুমার সূত্রধর নামে এক প্রার্থীর বয়স ছিল ৩৮ বছর। ওই প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় টিকেছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডা. মাইনুল হাসান জানান, আমাদের দাবি মানা না হলে পরবর্তী সময়ে আন্দোলনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।
গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত ২০০ জন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষার ফল গত রোববার প্রকাশিত হয়। ১৮০ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ২০ ডেন্টাল চিকিৎসক পদে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ৮ হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন।
লিখিত পরীক্ষায় ১ পদের জন্য ৪ জনকে পাস করানো হয়। এ হিসাবে ৭১৯ জন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ডেন্টালের ৮১ জন মিলে মোট ৮২০ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। চূড়ান্ত নিয়োগের লক্ষ্যে তাদের ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডা. মাইনুল হাসান শিপন, ডা. তুষার, ডা. রাফি সজল, ডা. দাউদ চৌধুরী পলাশ, ডা. মুবিন, ডা. তমাল, ডা. প্লাবন প্রমুখ।
আপনার মন্তব্য