সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ মে, ২০১৯ ২১:৪২

বিএনপির ৩০ টাকা মূল্যের ইফতার!

রাজনীতিবিদদের নিয়ে ইফতার করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি।

এতে প্রতিজনের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩০ টাকার ইফতার। কারণ, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জন্য সরকার বরাদ্দ রেখেছে ৩০ টাকা মূল্যমানের ইফতার। এর সঙ্গে মিল রেখেই আজকের ইফতারে বরাদ্দ রাখে দলটি।

ইফতার শুরুর আগে আগত বিএনপির দলীয় নেতাকর্মী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও ২০ দলীয় জোটের শরিকদলগুলোর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের দলের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।

সরকারিভাবে তার ইফতারির জন্য বরাদ্দ মাত্র ৩০ টাকা। সেজন্য আমরা এখানে যে আয়োজন করেছি তা ৩০ টাকার মধ্যে আয়োজন করেছি। আশাকরি আপনাদের কষ্ট হলেও দেশনেত্রীর প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য আপনারা সেটা মেনে নেবেন।

তিনি বলেন, আজ এই জগদ্দল পাথর সরকার সমস্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আজকের দিনে আল্লাহর কাছে দোয়া চাই আল্লাহ যেন এই দেশের মানুষকে শক্তি দেন, তারা যেন আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তাদের অধিকার ছিনিয়ে আনতে পারেন।

‘আসুন আজ আমরা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আমরা আমাদের বিরোধীদলীয় হাজার হাজার নেতাকর্মী যারা কারাগারে বন্দি তাদের মুক্তির জন্য দোয়া করি।’

ইফতার মাহফিলে অংশ নেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের নেতা আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, মহসিন রশিদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, আফসারী আমিন আহমেদ, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এসএম আকবর, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী, শাহ আহমেদ বাদল প্রমুখ।
 
২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে অংশ নেন জামায়াতে ইসলামীর ডা. শফিকুর রহমান, হামিদুর রহমান আজাদ, আবদুল হালিম, তাসনীম আহমেদ, সেলিমুদ্দিন, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) এর মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, খেলাফত মজলিশের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এমএম আমিনুর রহমান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপের এমএন সাওন সাদেকীন প্রমুখ।

পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে অংশ নেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক শরীফউদ্দিন।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে অংশ নেন ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, খন্দকার মাহবুব হোসেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল মান্নান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, শওকত মাহমুদ, নিতাই রায় চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফরহাদ হালিম ডোনার, ফজলুর রহমান, নাজমুল হক নান্নু, আবদুর রেজ্জাক খান, জিয়াউর রহমান খান, শাহিদা রফিক, বিজন কান্তি সরকার, আবদুল হাই শিকদার, খায়রুল কবির খোকন, এসএম ফজলুল হক, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মফিকুল হাসান তৃপ্তিসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত