সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ জুন, ২০১৯ ১১:৩৩

ডিআইজি মিজানের সঙ্গে ‘খোশগল্প’ করেছিলেন বাসির!

পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসির খোশগল্প করেছিলেন বলে দাবি করেছেন। বাসিরের অভিযোগ এই খোশগল্প দিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের সঙ্গে খোশগল্প করছিলাম। মিজান তাঁর দুঃখের কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, ডিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাঁকে নারী কেলেঙ্কারিতে ফাঁসান। আমি বলেছিলাম, ছয় বছর ধরে একই পদে চাকরি করছি, কোনো প্রমোশন নেই। প্রমোশন হলে এখন আমার গাড়ি থাকত। ছেলেমেয়ের যাতায়াতে সুবিধা হতো।’ ঘুষ লেনদেনের অডিও প্রসঙ্গে মঙ্গলবার পত্রিকাটিকে এসব কথা বলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসির। তিনি বলেন, সেদিনের খোশগল্পই বিকৃত করে উপস্থাপন করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

ডিআইজি মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করেছিল দুদক। কিন্তু এই তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মিজানুর রহমান। প্রমাণ হিসেবে হাজির করেন এনামুল বাসিরের সঙ্গে কথোপকথনের অডিও রেকর্ড। এনামুল বাসির গত সোমবার বলেছিলেন, অডিও রেকর্ডটি বানোয়াট। তিনি কোনো টাকাপয়সা নেননি।

তাহলে অডিওর সঙ্গে আপনার কণ্ঠস্বর মিলছে কি করে—এমন প্রশ্নে বাসির বলেন, কণ্ঠস্বর নকল করে ফাঁসানো হয়েছে। নকলকারী কাউকে দিয়ে অথবা প্রযুক্তির সাহায্যে এটা তৈরি করা হয়েছে।

তাহলে আপনি কি এখন মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করবেন? এমন প্রশ্নে বাসির বলেন, ‘আমার নিজেরই তো চাকরি নাই। মামলা করব মানে কী।’ এরপর বাছিরের কক্ষে উপস্থিত থাকা দুদক কর্মকর্তাদের বলেন, ‘আমাকে বাঁচাও। নিয়ে যাও এখান থেকে।’

ঘুষ লেনদেনের অডিও ফাঁসের ঘটনার পর ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছে তদন্তের তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে গত সোমবার খন্দকার এনামুল বাসিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে দুদক। ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয় কমিটিও।

কী তথ্য ফাঁস করেছিলেন? এ প্রসঙ্গে বাছির বলেন, ‘তদন্ত করার সময় মিজান তদন্ত সম্পর্কে জানতে চান। তখন আমি বলেছিলাম, প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।’ বাসিরের বক্তব্যের ব্যাপারে ডিআইজি মিজান বলেন, সব প্রমাণ তার হাতে আছে।

এদিকে দুদক ও পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় দুই পক্ষেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দুদকের পক্ষে এর দায় কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত