সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:২৫

বইমেলায় 'ধর্মীয় উসকানিমূলক' বই ঠেকাতে পুলিশের নজরদারি

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বরাবরের মতো এবারও কড়া নিরাপত্তার পাশাপাশি মেলা স্টলে 'ধর্মীয় উসকানিমূলক' বই যাতে না থাকে সেজন্য নজরদারী করবে পুলিশ। এই ধরনের বই যাতে মেলায় না থাকে সেজন্য ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। পাশাপাশি বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকেও সক্রিয় থাকবে বই মনিটরিং কমিটি।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদরদপ্তরে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করবেন। এর আগে পুলিশ, আয়োজক সংস্থা বাংলা একাডেমি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, পুস্তক প্রকাশনা সমিতির নেতা ও সরকারী সেবা সংস্থাসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সমন্বয়ে মঙ্গলবার সভা হয়।

এতে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, 'বইমেলা ঘিরে ডিএমপি প্রয়োজনীয় সব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন বই মেলাতে থাকতে দেওয়া যাবে না।' পুলিশ কমিশনার বলেন, বই প্রেমিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সবার সহযোগিতা দরকার। সবাই মিলে চেষ্টা করলে বাঙালির প্রাণের মেলা সফলভাবে শেষ করতে পারব। যেকোন পরিস্থিতিতে তিনি সবাইকে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ারও পরামর্শ দেন।

সভায় বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, এবারের বই মেলায় মোট ৫৩৮টি প্রকাশনা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে ৪১১টি স্টল। আর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৭টি স্টল বসবে। সব মিলিয়ে স্টল থাকবে ৮৭২টি। এছাড়া শিশু চত্বর, মসজিদ, টয়লেট, ফুড পার্ক ও প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র থাকবে বইমেলা প্রাঙ্গণে।

আনোয়ার হোসেন বলেন, 'বইমেলায় আসা বই মনিটরিং করতে এবারও 'মনিটরিং কমিটি' কাজ করবে। মেলার নিরাপত্তার জন্য তিনশর বেশি সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। বাঁশ ও টিন দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ ঘিরে শক্ত বেষ্টনী দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি বুক স্টলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।'

সমন্বয় সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসাম্মৎ জোহরা খাতুন, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল ছাড়াও মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত