নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ এপ্রিল, ২০২০ ২০:০২

কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য দিতে অতিরিক্ত ধান ক্রয় করবে সরকার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময়ে কৃষকেরা যাতে ধানের ন্যায্যমূল্য পান এজন্যে অতিরিক্ত ধানক্রয়ের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, কৃষকেরা যাতে উৎপাদিত বোরো ধানের ন্যায্যমূল্য পান, সে জন্য চলতি মৌসুমে গত বছরের চেয়ে দুই লাখ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান কেনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ জন্য অতিরিক্ত ৮৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, এই দুঃসময়ে কৃষি উৎপাদনব্যবস্থা শুধু সচল রাখা নয়, আরও জোরদার করতে হবে। সামনের দিনগুলোয় যাতে কোনো প্রকার খাদ্য–সংকট না হয়, সে জন্য একখণ্ড জমিও ফেলে রাখা চলবে না। এ জন্য কৃষি-সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বীজ, সার, কীটনাশকসহ সব ধরনের কৃষি উপকরণের ঘাটতি যাতে না হয় এবং সময়মতো কৃষকের হাতে পৌঁছায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করার কথা জানিয়ে বলেন, এ তহবিল থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিদের কৃষি, মৎস্য, ডেইরি এবং পোলট্রি খাতে ৪ শতাংশ সুদহারে ঋণ প্রদান করা হবে। কৃষি ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

এ মুহূর্তে কোনো খাদ্যসংকট নেই জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি গুদামে যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুত রয়েছে, তেমনি রয়েছে গৃহস্থদের ঘরে ঘরে।

খাদ্য ও কৃষিপণ্য সরবরাহ ও বিতরণব্যবস্থা অটুট রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক সদাশয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও দরিদ্র জনগণের সহায়তায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণে এগিয়ে এসেছেন। তবে, এসব ত্রাণসামগ্রী ও সহায়তা বিচ্ছিন্নভাবে না বিলিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে শৃঙ্খলার সঙ্গে বিতরণ করা প্রয়োজন। তা না হলে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যাবে।

বিত্তবানদের এই সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত