সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:৪৪

পেঁয়াজ ও আদার দাম এক সপ্তাহে বেড়ে দ্বিগুণ

পেঁয়াজ ও রসুনের এখন ভর মৌসুম। এ কারণে পণ্য সংকটের কোনো সুযোগ নেই। তবুও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দুটির দর ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দর কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা হয়েছে। রসুনের দরও কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। একই সময়ে আদার দরও দ্বিগুণ বেড়ে ৩০০ টাকা ছুঁয়েছে।

মসলা জাতীয় এ তিন পণ্যের আড়তদার, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে এগুলোর সরবরাহে সংকট নেই। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক সময়ের মতো সরবরাহ না থাকলেও চাহিদা অনুযায়ীই রাজধানীতে আসছে পেঁয়াজ। এর পরও হঠাৎ করে দর বেড়ে যাওয়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার প্রবণতাই দায়ী বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।

করোনার কারণে সাধারণ ছুটিতে সবাই ঘরবন্দি হয়ে পড়লে এবং ভর মৌসুম শুরু হলে রাজধানীর বাজারে গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দর কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় নেমে আসে। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। অন্যদিকে দেশি রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা ছিল। এখন তা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা হয়েছে। আদার দাম দ্বিগুণ বেড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় পৌঁছেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, যৌক্তিক কারণ ছাড়াই পাইকারি বাজারে এগুলোর দর বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন


করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে বাজারে বাড়তি চাহিদার সুযোগে গত মাসের মাঝামাঝিতে কারসাজি করে এক দফা দর বাড়ানোর চেষ্টা চালান কিছু ব্যবসায়ী। তবে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় তা স্থায়ী হয়নি। এখন আড়ত ও পাইকারি বাজারে এক সপ্তাহের মধ্যে দফায় দফায় দর বাড়িয়েছেন তারা।

পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, আমদানি করা পেঁয়াজ, রসুন ও আদার সরবরাহ কম। দেশি পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে চাহিদা পূরণ হচ্ছে, যা চাহিদার তুলনায় কম। তারা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন জেলায় ঠিকমতো হাটবাজার বসছে না। ফলে পেঁয়াজ ও রসুনের সরবরাহ কমেছে। এ ছাড়া পরিবহন ভাড়াও আগের চেয়ে বেশি। এ কারণে দাম বাড়ছে।

এ তিন পণ্যের পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দর কেজিতে আরও দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে দর কমেছে সবজি, ডিম ও মুরগির। এ ছাড়া অন্য নিত্যপণ্যের দর আগের মতোই কিছুটা বেশি। এতে কম আয়ের মানুষের চাপ বাড়ছে। তারা কম দরে পণ্য কিনতে টিসিবির ট্রাকের সামনে লাইন দিচ্ছেন।

এদিকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় হঠাৎ করে দিয়াশলাইয়ের সংকট দেখা দিয়েছে। দিয়াশলাই উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো আগের মতো বিভিন্ন এলাকায় এটি পৌঁছে দিতে পারছে না। এতে রাজধানীর অনেক এলাকায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত