সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ মে, ২০২০ ০২:৩০

দেশে এন-৯৫ মাস্ক তৈরি করবে জেএমআই, বিক্রি হবে ১৬০ টাকায়

কয়েক মাস আগেও “কে এন-৯৫” মাস্ক সম্পর্কে তেমন কিছু না জানতেন না বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বর্তমানে জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে এটি। সারা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এই মাস্কের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

দেশের মানুষের চাহিদা পূরণে স্থানীয়ভাবে স্ট্যান্ডার্ড কে এন-৯৫ মাস্ক উৎপাদন করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে নিজেদের তৈরি করা কে এন-৯৫ মাস্কের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফলভাবে শেষ করেছে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। জেএমআই গ্রুপের একটি মেডিকেল সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এটি।

চূড়ান্ত অনুমোদন ও পরীক্ষার জন্য নিজেদের তৈরি করা মাস্ক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে (ডিজিডিএ) পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞাপন

জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের কারখানায় প্রতিদিন ৪০ হাজার এন-৯৫ মাস্ক তৈরি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি জানান, করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়ার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে চীনা কোম্পানি লিজ ফ্যাশন-এর সহযোগিতায় মাস্ক ম্যানুফ্যাকচারিং লাইন স্থাপনের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অনুমোদন পেলে এন-৯৫ স্ট্যান্ডার্ড মাস্কের উৎপাদন শুরু করা হবে। উৎপাদিত মাস্কের মান নিশ্চিতে চীনের পণ্যমান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুসরণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সার্জিকাল মাস্ক ও গ্লাভস উৎপাদন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

চীনা কোম্পানি লিজ-এর প্রতিনিধি ও কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স ম্যানেজার চার্লি উনান ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, যৌথভাবে উৎপাদিত এই কেএন-৯৫ মাস্কগুলোতে প্রয়োজনীয় ৪টি স্তর ছাড়াও একটি বিশেষ স্তর থাকবে। এর ফলে এটি যে কোনো বাজারের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে ডিজিডিএ’র পরিচালক মো. রুহুল আমিন বলেন, অনুমোদিত পরীক্ষাগারে মাস্কগুলো পরীক্ষার পর প্রতিষ্ঠানটির কারখানা পরিদর্শন করবে কর্তৃপক্ষ। সব কিছু সন্তোষজনক হলে প্রতিষ্ঠানটিকে পণ্য বাজারজাত করার অনুমতি দেয়া হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে আমদানিকৃত কে এন-৯৫ মাস্কগুলোর দাম ৩০০ টাকার কাছাকাছি। তবে, অনুমোদন পেলে ১৫০-১৬০ টাকায় কে এন-৯৫ মাস্ক বিক্রি করবে বলে জানিয়েছে জেএমআই গ্রুপ।

এর আগে কে এন-৯৫ মাস্ক-এর লেবেল লাগিয়ে সাধারণ মানের মাস্ক বিক্রির অভিযোগ ওঠে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। তবে, ভুলবশত এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য বিভাগ। এই ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত