ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ৩ ডিসেম্বর।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের ৭ মে অনুষ্ঠিত সভায় সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন করার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দলপ্রধানের নির্দেশে পরবর্তীতে সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ এবং দুই সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সবশেষ সম্মেলন হয় ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পান গোলাম রাব্বানী।

কিন্তু নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সংগঠনের শীর্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন শোভন ও রাব্বানী।

পরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব বর্তায় আল নাহিয়ান খান জয়ের ওপর। আর লেখক ভট্টাচার্যকে দেয়া হয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব।

২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয় ও লেখককে ‘ভারমুক্ত’ করে পূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত তারা ওই পদে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।

ছাত্রলীগকে দ্রুত সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার নির্দেশ দেয়া হলেও জয় ও লেখক নানাভাবে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টার করছেন বলে সংগঠনের ভেতর থেকেই অভিযোগ ওঠে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ২৬ নভেম্বর মহিলা আওয়ামী লীগ ও ৯ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।