সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ১৫:৫৮

মহাসমাবেশ শেষ করল বিএনপি

ছবি : সংগৃহীত

আগামীকাল রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়ে মহাসমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।

এর আগেকাকরাইল, পল্টন ও বিজয়নগরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা–কর্মীরা। এ সব ঘটনায় একাধিক যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। দুটি মোটরসাইকেল পোড়ানো হয়। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

কালভার্ট মোড়, পুরানা পল্টন ও সেগুন বাগিচা—এই তিন দিক থেকে ঘেরাও করে পুলিশকে আক্রমণ করছে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটের নেতা-কর্মীরা। পানির ট্যাংক মোড়ে অবস্থান নিয়ে পুলিশ নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ছে।

বিএনপি, গণ অধিকার, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মী সন্দেহে কয়েকজনকে মারধর করেছেন তারা।

এদিকে, কাকরাইল মোড়সহ আরও বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ার পর পুলিশি অ্যাকশন শুরু হয়। সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ করেই দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সমাবেশের দুইদিকে অবস্থান নেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়া হয়। এর ফলে মঞ্চ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থল থেকে বেরিয়ে যান।

বিএনপির অভিযোগ, পুলিশ কাকরাইল মোড় থেকে ধীরে ধীরে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়তে ছুঁড়তে পল্টনের দিকে এগিয়ে যায়। একসময় মুহুর্মুহু রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে।

শনিবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ করে বিএনপি। নির্ধারিত সময়ের সোয়া এক ঘণ্টা আগে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ মহাসমাবেশ শুরু হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই মহাসমাবেশ হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের যৌথ সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে প্রথমে অনুমতি না পেলেও শেষ মুহূর্তে মৌখিক অনুমতি পাওয়ার পর আরামবাগে সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। সেখানে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন। দলটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করার পর পুলিশের সহায়তায় নেতাকর্মীরা আরামবাগ ত্যাগ করেন।

অপরদিকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল ​মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এ সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত