সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ মার্চ, ২০১৬ ১৮:১২

বিএনপির শীর্ষ পদে খালেদা-তারেক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনর্নির্বাচিত

বিএনপির চেয়ারপারসন পদে বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে তার ছেলে তারেক রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।  

রোববার বিকেলে পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় খালেদা-তারেকের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।

আগামী ১৯ মার্চ বিএনপির চেয়ারপারসন পদে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এই নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন।

বিএনপি গঠনকারী জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ১৯৮১ সালে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার এক বছরের মধ্যে রাজনীতিতে নেমেই দলের ভাইস চেয়ারম্যান পদ নিয়েছিলেন খালেদা।

তখন বিএনপির চেয়ারম্যান ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার। সেনাপ্রধান এইচ এম এরশাদ ১৯৮২ সালে বিএনপি সরিয়ে ক্ষমতা দখল করলে সাত্তারের অসুস্থতার মধ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের পদ নিয়ে দলের হাল ধরেন খালেদা।

তারপর ১৯৮৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন খালেদা। সেই থেকে তিনি এই পদে রয়েছেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার পর দুই বার তার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে বিএনপি।

জিয়া-খালেদার বড় ছেলে তারেক বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এক যুগ আগে রাজনীতিতে যুক্ত হয়েই দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হন। তারপর ২০০৯ সালের কাউন্সিলে জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পদোন্নতি ঘটে তার।

২০০৯ সালের ডিসেম্বরে পঞ্চম কাউন্সিলে ‘জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান’ নামে নতুন পদ সৃষ্টি করে ওই পদে তারেককে নির্বাচিত করেন দলটির কাউন্সিলররা।

সাত বছর পর এবার বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলের ঘোষণা দেওয়ার পর প্রথমে চেয়ারপারসন ও জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়।  

ত্রিশোর্ধ্ব যে কোনো চাঁদাদাতা সদস্যের সুযোগ থাকলেও ২ মার্চ মনোনয়নপত্র সংগ্রহের নির্ধারিত দিনে দুই পদে খালেদা ও তারেক ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র না নেওয়ায় তাদের পুনর্নির্বাচিত হওয়াটা স্পষ্ট হয়ে যায়।

৪ মার্চ দুজনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। বাছাইয়ের পর সিদ্ধান্ত জানাতে  দুদিন পর বিকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের অপরাপর সদস্যদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন জমিরউদ্দিন সরকার।

তিনি বলেন, “চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে জন্য যথাক্রমে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান একক বৈধ প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচন কমিশন বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপির চেয়ারম্যান পদে এবং তারেক রহমানকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে আগামী তিন বছরের জন্য নির্বাচিত ঘোষণা করছে।”

নির্বাচনের এই ফলাফল চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশনের সদস্য হারুন আল রশীদ, সদস্য সচিব আমীনুল হক, রিটার্নিং কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম খান, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল মান্নানও সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত