সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ এপ্রিল, ২০১৬ ১৪:০৭

‘নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মহোৎসব হয়েছে’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রিজভী আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা সারা দেশে ভোট ডাকাতি ও ব্যাপক অনিয়ম করছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা গতকাল (শুক্রবার) রাত থেকেই ব্যালট বাক্স ভরে রেখেছেন। আজকে সকাল থেকেই বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে নিয়েছেন। তারা সকল এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।

তিনি বলেন, সরকার ও সরকার সমর্থিতদের ভোটকেন্দ্র দখল, বিএনপির এজেন্টদের বের করা দেওয়া, প্রকাশ্যে নৌকা মার্কায় সিল মারাসহ নানা অভিযোগ করা হলেও নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

এসব ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তৃতীয় ধাপেও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে গোপন  লিখিত চুক্তি করা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য, সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদেরকে নির্বাচনে জয়ী করা।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য হত্যা, নির্বাচনকে রক্তাক্ত করা। সেই পৈশাচিক ঐতিহ্য তারা ধরে রেখেছে। রক্তাক্ত করেছে ইউনিয়েনের পর ইউনিয়ন, অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন, তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষেও অনেককে হত্যা করেছে’।

রিজভী বলেন, ‘সব কয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেই  ভোট জালিয়াতি, ভোট ডাকাতি, বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি প্রশাসনের হামলা, তাদের গ্রামছাড়া করা, এলাকাছাড়া করা হয়েছে’।

‘আওয়ামী ভোটারবিহীন সরকারের জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তাদের অধীনে যতোগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সবগুলোতেই আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সহিংস ও ভোট ডাকাতির ঘটনা প্রত্যক্ষ করে আসছে দেশবাসী’- যোগ করেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রাণঘাতি রক্তাক্ত সহিংসতা ঠেকাতে কোনো ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ সমস্ত গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না নির্বাচন কমিশন। কারণ, ঝুঁকি নিলে যদি চাকরি চলে যায়!’

সরকার আজ পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে সরকার উপহাসে পরিণত করেছে। আর তাতে সহায়তা করেছে নির্বাচন কমিশন’।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, বিদায়ী কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত