৩১ জুলাই, ২০১৬ ২৩:৪৪
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার সময়সীমা শেষ হলেও নির্ধারিত তারিখে সে হিসাব জমা দেয় নি আওয়ামী লীগ, বিএনপি সহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ১০ টি দল। এর বাইরে ৩০ টি দল হিসাব জমা দিয়েছে।
রোববার (৩১ জুলাই) ছিল হিসাব জমাদানের শেষ দিন। এদিনের মধ্যে দলগুলো হিসাব জমা না দিলেও সময়ের আবেদন করেছে।
তবে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে।
দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসির কাছে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কোনো দল পরপর তিন বছর হিসাব জমাদানে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি।
জানা গেছে, ইসির নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়াও আরও আটটি দল হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হয়ে কমিশনে সময়ের জন্য আবেদন করেছে। রোববার শেষ দিনেই হিসাব জমা দিয়েছে ১৯টি রাজনৈতিক দল।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ জানান, দলগুলোর আবেদন বিবেচনায় নিয়ে সময় বাড়ানো হতে পারে। তবে কমিশন সভায় আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো দলগুলোর মধ্যে রয়েছে- আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হিসাব জমা দেওয়া দলগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমএল ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
আপনার মন্তব্য