জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় বুধবার (৩১ আগস্ট) বিশেষ আদালতে হাজিরা হওয়ার কথা থাকলেও জামায়াতের হরতালের কারণে আদালতে হাজির হবেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি এ ব্যাপারে বলেন, ‘বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে দুই মামলায় হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও জামায়াতের হরতালের কারণে নিরাপত্তার অভাবে আদালতে হাজির হবেন না।’

সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লাকে অফেন কোর্টে বিষয়টি আমরা অবহিত করেছি। বিচারক আমাদের বললেন ঠিক আছে যেহেতু হরতাল আর কি করার।’

ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দার আদালতে বুধবার অরফানেজ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ ও জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় আত্মপক্ষের সমর্থনের দিন ধার্য রয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন-মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।