নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ অক্টোবর, ২০১৬ ১৩:৪৩

ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি থেকে আ. লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য

ছিলেন বামপন্থী নেতা। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন। এবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর (প্রেসিডিয়াম) সদস্য হলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।

রোববার আওয়ামী লীগের সম্মলনে দলের শীর্ষ এই ফোরামের সদস্য মনোনীত হন শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা সিলেট-৬ আসনের এই সাংসদ। এরআগে সিলেটের নেতা হিসেবে আব্দু সামাদ আজাদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ওয়ান ইলিভেনের পর সুরঞ্জিত বাদ পড়লে আওয়ামী লীগের গত দুই কমিটিতে প্রেসিডিয়ামে ছিলেন না সিলেটের কোনো নেতা। এবার নাহিদ সেই শূন্যতা ঘোচালেন।

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তা ছাড়া এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৯৩ সালে তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) অন্যতম সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ সময় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন নাহিদ। এ ছাড়া তিনি পার্টির শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে নুরুল ইসলাম নাহিদ সিবিপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

পরবর্তীকালে ১৯৯৪ সালে আরো কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক হন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে তিনি সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হলেন।

আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পর ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে নাহিদ সিলেট-৬ আসনে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হলেও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনেও পরাজিত হন নাহিদ। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে নির্বাচনে পুণরায় বিজয়ী হয়ে সাংসদ হন এই নেতা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন সাধারণ নির্বাচনে সারাদেশের ১৫৩ জন সদস্যের মত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

এদিকে, নাহিদ প্রসিডিয়াম সদস্য মনোনীত হওয়ায় সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। ফুল মিস্টি নিয়ে নাহিদ বাসায় ভিড় করছেন সিলেটের নেতাকর্মীরা।

নাহিদ ছাড়াও আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির আরো দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও আব্দুল মান্নান খান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনিও একসময় বামপন্থী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত