সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ নভেম্বর, ২০১৬ ২০:৪২

রোববার মন্ত্রী ছায়েদুল হকের সংবাদ সম্মেলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় সমালোচনা ও পদত্যাগের দাবির মুখে থাকা মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। গত ৩০ অক্টোবর ওই এলাকায় বেশ কিছু হিন্দু মন্দির ভাঙচুর ও বাড়িঘর লুটের ঘটনা ঘটে, এবং মন্ত্রী এলাকায় উপস্থিত থাকাবস্থায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বেশ কিছু হিন্দু বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

রোববার (৬ নভেম্বর) বেলা ১টার সময় নাসিরনগর উপজেলা ডাকবাংলোতে ওই সংবাদ সম্মেলন হবে বলে তথ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৬ বার নির্বাচিত সাংসদ ও এবারই প্রথম মন্ত্রী হওয়া ছায়েদুল হকের এলাকা নাসিরনগরে এক হিন্দু যুবকের ফেসবুকে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ৩০ অক্টোবর ১৫টি মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয়।

সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের পর তিন দিনেও ছায়েদুল হক এলাকায় না যাওয়ায় সমালোচিত হচ্ছিলেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার গিয়ে তিনি ঘটনাটি অতিরঞ্জিত বলার পর নতুন করে সমালোচিত হন। মন্ত্রী সেদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “ঘটনা তো তেমন কিছুই না। আপনারা ঘুরে দেখেন সবকিছু স্বাভাবিক আছে।”

প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারণে এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মন্ত্রী ছায়েদুলের পদত‌্যাগের দাবিও উঠেছে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার এক কর্মসূচিতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল বলেন, “ঘটনা ঘটার কয়েক দিন পরে মন্ত্রী ছায়েদুল হক এলাকায় গিয়েছেন। তিনি যাওয়ার পরেও সেখানে আবার হামলা হয়েছে। এতেই বোঝা যায় তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।”

এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর স্থানীয় তিন নেতাকে আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করেছে। বহিষ্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক আবুল হাসেম, হরিপুর ইউনিয়ন সভাপতি ফারুক মিয়া ও চাপরতলা ইউনিয়ন সভাপতি সুরুজ আলী মন্ত্রী ছায়েদুল হকের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত