সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ২০:২৩

সেনা মোতায়েন চান সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ করতে নির্বাচনের ৭ দিন আগে থেকে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রিটার্নিং অফিসারের কাছে তিনি লিখিত দাবি জানান। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ওই কর্মকর্তার কাছে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে লিখিত আবেদন করেন বিএনপি দলীয় এ মেয়রপ্রার্থী।

সাখাওয়াত নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় সব প্রার্থীর সমান অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করা, ভয়ভীতি প্রদর্শনের সব প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করা এবং ভোটকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া।’

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাখাওয়াত বলেন, ‘এই নির্বাচনের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে। আমি এখন পর্যন্ত আশ্বস্ত যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। জনগণও তা বিশ্বাস করে। এ নির্বাচনে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটবে না। তাই আমি আশাকরি বর্তমান কমিশন তাদের দুর্নাম ঘুচিয়ে দেবেন। ভোটাররা নির্দ্বিধায় ভোট দিতে পারবেন এমন পরিবেশ সৃষ্টি করবেন।’

সাখাওয়াত বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে বিশ্বাস করি না। নারায়ণগঞ্জের কিছু মানুষের কারণে এ জেলা কলঙ্কিত হয়েছে। কিন্তু এখনও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কিংবা সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হয় নাই। যেসব বৈধ অস্ত্র আছে সেগুলোও জমা নেওয়া হয় নাই। আমি মনে করি এসব অস্ত্র জমা নেওয়া প্রয়োজন নতুবা এসব অস্ত্র দিয়ে লোকজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হতে পারে। এসব কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। তবে প্রশাসন ইচ্ছে করলেই পরিস্থিতি স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ রাখতে পারে।’

সাখাওয়াত সুষ্ঠু ভোটের জন্য সেনা মোতায়েনের দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘সেনা মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা আছে। সেনা মোতায়েনের জোর দাবি জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমি লিখিতভাবেও জানিয়েছি।’

জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি মাসুম বিল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের এজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল, এলডিপির বহিস্কৃত নেতা কামাল প্রধান ও কল্যাণ পার্টির বহিস্কৃত নেতা রাশেদ ফেরদাউস।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত