১৬ জুলাই, ২০১৭ ০০:৫৭
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) বাংলাদেশের মানুষের জন্য আল্লাহর রহমত বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। তিনি বলেন, ‘দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী টকশো-তে গিয়ে র্যাবের সমালোচনা করেন। তারা র্যাবের ক্রসফায়ারকে বিচার-বহির্ভূত হত্যা বলে দাবি করেন। কিন্তু আমি মনে করি, র্যাব হলো সাধারণ মানুষের কাছে স্বস্তির নাম। তাই র্যাব’কে আমি এভাবে ইলাবোরেট করি, রহমত অব আল্লাহ ফর বাংলাদেশ।’
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার র্যাব-৭ হেড কোয়ার্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্ধার করা মাদকদ্রব্য ধ্বংস করতে র্যাব-৭ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পতেঙ্গায় র্যাব-৭-এর সদর দপ্তরে মাদকদ্রব্য ধ্বংস কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুপুরে ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ইয়াবা, ৭ হাজার ১৮১ বোতল ফেনসিডিল, ২০০ বোতল বিদেশি মদ ও ২০০ কেজি গাঁজা ধ্বংস করা হয়। সাম্প্রতিক বিভিন্ন অভিযানে র্যাব-৭ এসব মাদকদ্রব্য জব্দ করে।
উপস্থিত চার সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে এম এ লতিফ বলেন, ‘র্যাব সন্ত্রাসীদের কাছে আতঙ্কের নাম। র্যাব ভালো কোনও মানুষকে হত্যা করছে না। যাদের নামে ১৫-২০টা মামলা থাকে, র্যাব তাদের হান্ট ডাউন করে। তারা সন্ত্রাসীদের মনে ভীতি সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফেরাতে চায়। র্যাব এই হান্ট ডাউন করুক, দেশের মানুষ সেটাই চায়।’
সমালোচকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যেসব বুদ্ধিজীবী ওই নরপশুদের পক্ষ নিয়ে মানবাধিকারের প্রশ্ন তোলেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আজকে আমার ভাই-বোন-বাবা সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হলো, অপহৃত হলো, তাদের ব্যাপারে আপনাদের বক্তব্য কী?’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন সন্ত্রাসীরা আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে দ্বিগুণ উৎসাহে সন্ত্রাসের সাথে যুক্ত হয়, তখন ওই বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধি কি তাদের ভালো পথে ফিরিয়ে আনতে পারে? অবশ্যই পারে না। তাই র্যাব তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাক, দেশের মানুষ সেটাই চায়।’ এসময় তিনি বর্তমানের মতো আগামীতেও র্যাবের সঙ্গে থাকার আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরের শুরুর দিকে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির দায়ে সমালোচনার মুখে পড়ে চট্টগ্রাম-১১ আসনের এই সংসদ সদস্য। তখন তার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ ও তথ্য-প্রযুক্তি আইনে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
আপনার মন্তব্য