সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ আগস্ট, ২০১৭ ১১:৩৪

প্রধানমন্ত্রীকে সরানোর কথা বলেননি প্রধান বিচারপতি: অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রধান বিচারপতি আদালতে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে দিতে পারেন- আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই দিন আদালতে থাকা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এধরনের কথা বলেন নি। পাকিস্তান প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার কথা গণমাধ্যমে ভুলভাবে এসেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকালে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী ও শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তৃতা দানকালে তিনি এ দাবি করেন।

সেদিন যেসব কথা হয়েছিল তা উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমি বললাম দেখেন, বাইরে অবস্থা খুব উত্তপ্ত। এখন লম্বা সময় দিয়ে দেন (শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রসঙ্গে)। উত্তপ্ত অবস্থা কাটুক, তারপর গভর্নমেন্ট এটা দেখবে। তখন উনি (প্রধান বিচারপতি) বললেন, উত্তপ্ত তো আমরা করিনি। আমরা একটা রায় দিয়েছি, আর এটা নিয়ে আপনারা এত আলাপ করছেন। পাকিস্তানের রায়ের পর তো প্রাইম মিনিস্টারও চলে গেল, কিন্তু সেখানে তো কিছু হয়নি। এরপর থেকে আমি (এস কে সিনহা) প্রাইম মিনিস্টারকে সরিয়ে দিতে পারব বলেও দাবি করা হচ্ছে, সেটা ঠিক না।’

এর আগে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের নেতা ফজলে নূর তাপস তার বক্তৃতায় অ্যাটর্নি জেনারেলে পদত্যাগ করা উচিত বলে উল্লেখ করেন। ফজলে নূর তাপস যখন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের পদত্যাগ দাবি করে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন অ্যাটর্নি জেনারেল তার পাশেই বসে ছিলেন।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আপনি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নিয়োজিত হয়েও কিভাবে বিচারপতি এস কে সিনহার বক্তব্যের প্রতিবাদ না করে মাথানত করে চলে আসলেন? আপনারও পদত্যাগ করা উচিত।’

কোন দুর্বলতার জায়গা থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল আমতা আমতা করেন, জানতে চেয়ে তাপস বলেন, ‘আপনাকে এর আগের মিটিংয়েও বলেছি, আমতা আমতা করবেন না।’

বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘যিনি রায়ের মাধ্যমে জাতির পিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান, তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। শপথ ভঙ্গ করেছেন। সংবিধান এই অধিকার কাউকেই দেয় নাই।’

বৃহত্তর ফরিদপুর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম মুনীরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু, আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনসহ আরও অনেকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত