সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৫:১১

কূটনৈতিকভাবে মিয়ানমারের নির্যাতন বন্ধ করুন: হেফাজত

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হাতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, গণহত্যা বন্ধসহ ও তাদেরকে নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি থেকে মিয়ানমার দূতাবাসকে স্মারকলিপি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার সকালে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর পক্ষে স্মারকলিপি নিয়ে যান ঢাকা মহানগরী আমির আল্লামা নূর হোসেন কাসেমি। এসময় জুনায়েদ আল হাবীবসহ ঢাকা মহানগরীর শীর্ষ নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।

এরআগে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে কর্মসূচি সফলে সমাবেশ করে হেফাজত।

হেফাজত নেতা নুর হোসেন কাসেমির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি দেখে যান আরাকান স্বাধীন করার জন্য লাখ লাখ মুসলমান প্রস্তুত রয়েছে। আর কোনো রোহিঙ্গার জীবন হুমকির মুখে পড়তে দেয়া হবে না। অবিলম্বে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, আমরা আরাকানে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। অস্ত্র দিন নইলে কূটনীতিক পদ্ধতিতে মিয়ানমারকে নির্যাতন বন্ধে বাধ্য করুন।

কাসেমি আরও বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে মিয়ানমারে সামরিক জান্তারা অনেক মুসলমানের রক্ত ঝরিয়েছে। অনেক নির্যাতন চালিয়েছে। এতদিনের নির্যাতন-নিপীড়ন আর সহ্য করা হবে না। এখন সময় এসেছে প্রতিবাদের। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মুফতি, ওলামা মাশায়েখ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন যে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জিহাদ ফরজ হয়ে গেছে।

গত শুক্রবারের ঘোষণা অনুযায়ী মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করতে সোমবার সকাল থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জমায়েত হতে থাকে হেফাজত নেতা ও কর্মীরা। এরপর দুপুর বারোটায় মিছিল নিয়ে গুলশান অভিমুখে যেতে চাইলে শান্তিনগর মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ।

তখন রোহিঙ্গাদের মুক্তির জন্য মোনাজাত করে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। এসময় ঢাকা মহানগরী নেতা জুনায়েদ আল হাবীব পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মীদের শান্ত থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান।

পরে শান্তিনগর মোড় থেকে নূর হোসেন কাসেমীর নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলামের আট থেকে দশজন নেতা দুটি গাড়িতে মিয়ানমার দূতাবাসে যান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত