সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৯:২৪

‘সহায়ক’ সরকারের দাবি প্রত্যাখ্যান প্রধানমন্ত্রীর

বিএনপির নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক’ সরকারের দাবি আবারও প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, বিএনপি কোন দিনই গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার পক্ষে ছিল না। আর এ জন্যই বর্তমানে তারা অসাংবিধানিকভাবে সহায়ক সরকারের দাবি করে আসছে যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য তানভীর ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। খবর বাসসের

তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান অনুযায়ী সহায়ক সরকার বলে কোন সরকার গঠন করার বিধান নেই। বিএনপি জন্ম নিয়েছে মার্শাল ল’ জারি করে সংবিধান লঙ্ঘন করার মাধ্যমে অবৈধ পথে। তাই অবৈধ দাবি করাটা তাদের অভ্যাস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে ভোটার বিহীন গণভোট (হ্যাঁ/না ভোট) করেছিল বিএনপি এবং সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে কোন নিয়মনীতি অনুসরণ না করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে এবং সরকার গঠন করে। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরবর্তীতে তার ওই কর্মকাণ্ড অবৈধ ঘোষিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করার পর মাগুরা ও ঢাকার উপ-নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি করেছিল এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটার বিহীন নির্বাচন করে অবৈধ সরকার গঠন করে বিএনপি। গণআন্দোলনের সম্মুখীন হয়ে দেড় মাসের মধ্যে তাদের পতন ঘটে।

তিনি বলেন, ওই সময়ে বিএনপি বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের সংবিধান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্পষ্ট রূপরেখা থাকা সত্ত্বেও তাদের পছন্দসই ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার চেষ্টা করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করার উদ্দেশ্য থাকায় দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয় এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২ বছর ক্ষমতায় থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে সব সময় সমুন্নত রাখবে, সে জন্য সংবিধান পরিপন্থী কোন সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে এবং সরকারের পরিসর ছোট করা হবে। সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে শুধু রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে, কোন নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত