সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ জুলাই, ২০১৫ ২১:৫৯

সম্মেলনকে টার্গেট করে ছাত্রলীগে কমিটি ঘোষণার তোড়জোড়

আাগামী ২৫ ও ২৬ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৮তম দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।  এ সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে ছাত্রলীগে।

ছাত্রলীগ তাদের ১০১টি জেলা ‍শাখার মধ্যে এক তৃতীয়াংশের কমিটি ঘোষণা করেছে। জেলা উপজেলাসহ অন্যান্য অধস্তন সংগঠনে এই হার আরও বেশি। আগামী ২৫ ও ২৬ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে তড়িঘড়ি করে এসব কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত কমিটি সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ‍ভাষায় ‘প্রেস রিলিজ’ কমিটি নামে পরিচিত।  

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের জেলাসহ অধঃস্তন শাখাগুলোর মেয়াদ এক বছর হলেও কেন্দ্রীয় সংগঠনের সঙ্গে গা ভাসিয়ে চলছে এসব শাখা সংগঠনগুলোর কাউন্সিল। কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মতে এসব শাখার সম্মেলন হচ্ছে সমান সময়ের ব্যবধানে।  

ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার কিছুদিন আগে থেকে জেলা সম্মেলনগুলো অনুষ্ঠানের তোড়জোড় শুরু হয়। মাত্র ৪/৫ মাস সময় হাতে রেখে শতাধিক জেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠান প্রায় প্রতিটি টার্মেই অসম্ভব হয়ে ওঠে। অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও তা অনুসৃত হচ্ছে।  

সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের ১০১টি জেলা শাখার মধ্যে ৫৬টিতে সম্মেলন করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সম্মেলন ছাড়াই ইতোমধ্যে ২০টি জেলার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় আরও ১০টির মতো জেলায় কমিটি ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি ১৫টির মত জেলায় কোনও কমিটি ঘোষণা হচ্ছে না বলে জানা গেছে।  

ছাত্রলীগের বর্তমান নেতারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে তারা কেন্দ্রীয় সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিয়ে এ বছরের শুরু থেকে জেলা ও উপজেলা সংগঠনগুলোর সম্মেলনসহ সংগঠন গোছাতে শুরু করে। কিন্তু বছরের প্রথম দিকে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে তাদের এই উদ্যোগে কিছুটা ভাটা পড়ে। এরইমধ্যে গত মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাত্রলীগকে ডেকে দ্রুত কাউন্সিল অনুষ্ঠানের নির্দেশনা দেওয়ায় তৃণমূল গোছাতে উঠেপড়ে লাগে দেশের পুরনো এই ছাত্র সংগঠনটি। এ সময় তারা তড়িঘড়ি করে বেশ কয়েকটি জেলার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করে।  

তবে, তারিখ ঘোষিত সবগুলো জেলাতে সম্মেলন করতে ব্যর্থ হয়। জোর প্রচেষ্টা করেও ছাত্রলীগের সম্মেলন ষাটের কোটায় উত্তীর্ণ করতে পারেনি তারা। ফলে কেন্দ্রীয় সম্মেলনের স্বার্থে বাকি থাকা জেলাগুলোতে কোনও ধরনের কমিটি ছাড়াই গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা শুরু করে তারা।  

এর আগে ২০১১ সালের ১০ ‍ও ১১ জুলাই ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গঠনতন্ত্র অনুসারে ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ দুই বছর হলেও বর্তমান নেতৃত্ব অতিরিক্ত দুই বছর কাটিয়ে ৪ বছর পর সম্মেলন করতে যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত