সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ আগস্ট, ২০১৫ ০২:১৭

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামিরা কে কোথায়

সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে সন্ত্রাস তথা বোমাবাজির আশ্রয় নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলার মোট ৫২ জনের সবাই কারাগারে নেই।

জানা গেছে, মামলার মোট ৫২ জন আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ পলাতক রয়েছে ১৮ জন। এই মামলায় জামিনে রয়েছেন আটজন। বাবর, মুজাহিদ, সালাম পিন্টুসহ ২৫ জন রয়েছেন কারাগারে। পলাতকদের মধ্যে তারেক ও তাজউদ্দিন ছাড়া আর কারও সম্পর্কে কোন তথ্য নেই প্রশাসনের কাছে। 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি তারেক রহমান লন্ডনে এবং তাজউদ্দিন দক্ষিণ আফ্রিকায় পলাতক রয়েছেন। তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়েছে।

তারেক রহমান বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে এবং মাওলানা তাজউদ্দিন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই।

তাদের মধ্যে তাজউদ্দিনকে ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঢাকায় সফররত দেশটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী নোমেন্দিয়া ফেকোতোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকে আসামিকে ফেরত পাঠাতে সম্মতির কথা জানান। এখন তাজউদ্দিনকে ফেরত আনতে দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি করতে হবে এবং দেশটি ওই চুক্তি করতেও সম্মত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আর লন্ডনে থাকা তারেককে ফেরানোর বিষয়টি এখন কূটনৈতিক প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।

পলাতক আসামিদের মধ্যে তারেক ছাড়া রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক এটিএম আমিন আহমদ, সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, হানিফ পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ হানিফ, পুলিশের সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খানও রয়েছেন।

এছাড়াও জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নেতা মাওলানা তাজউদ্দিন, মাওলানা মহিবুল মুত্তাকিন, আনিসুল মুরসালিন ওরফে মুরসালিন, মোহাম্মদ খলিল, জাহাঙ্গির আলম বদর, ইকবাল, মুফতি আবদুল হাই, মাওলানা লিটন ওরফে দেলোয়ার হোসেন ওরফে জোবায়ের, মুফতি শফিকুর রহমান, রাতুল আহমেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবু পলাতক রয়েছেন। পলাতকদের মধ্যে মোরসালিন ও মুত্তাকিন ভারতে আটক রয়েছেন বলে মনে করা হয়।

বাবর, মুজাহিদ ও সালা পিন্টু ছাড়া কারাবন্দি আসামিরা হলেন- এনএসআইর সাবেক মহাপরিচালক রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, আবদুর রহিম, জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ওরফে আবুল কালাম ওরফে আবদুল মান্নান ওরফে মুফতি হান্নান, শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, শেখ আবদুস সালাম, আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউছুফ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ওরফে জিএম, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর ওরফে আবু হুমাইয়া ওরফে পীর সাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমেদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মহিব উল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি, শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল, মাওলানা আবু সায়ীদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, জাহাঙ্গির আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ তামীম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে খাজা ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, আরিফ হাসান সুমন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে শামীম ওরফে রাশেদ, মো. উজ্জল ওরফে রতন ও হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া।

দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর বর্তমানে জামিনে রয়েছেন- খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, সাবেক আইজিপি শহুদুল হক, সাবেক আইজিপি খোদাবক্স, সিআইডির সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সাবেক এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ ও ঢাকার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরিফ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত