সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ জানুয়ারি, ২০২০ ০২:১৮

৩৭ প্রতিষ্ঠানের মালিক তাবিথ, সম্পদের চাইতে ঋণ বেশি

নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ৩৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি। বার্ষিক আয় চার কোটি টাকা। তবে বিভিন্ন ব্যাংকে তারও ঋণ রয়েছে ৩০২ কোটি টাকা। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় এমন তথ্য দিয়েছেন বিএনপির এই প্রার্থী।

মাত্র ৪২ বছর বয়সী তাবিথ আগে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের মালিক থাকলেও এবারে তিনি ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেছেন। বিপুল সম্পদের সঙ্গে রয়েছে তার বিপুল ঋণও। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তার প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ঋণ নেওয়া হয়েছে ৩০২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার।

এমএসসি পাস এই প্রার্থীর পেশা ব্যবসা হলেও কৃষি খাত থেকে তার আয় এক লাখ ২৫ হাজার ৬০০ টাকা। যদিও এর আগে ২০১৫ সালের সিটি ভোটে মেয়র পদে অংশ নিতে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখিয়েছিলেন ৯৮ লাখ টাকারও বেশি।
বাড়ি ভাড়া থেকে তিনি আগে পেতেন দুই লাখ; এখন পান ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের পারিতোষিক থেকে আগে তার আয় ছিল ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা; এবার দেখিয়েছেন ৬২ লাখ টাকা।

শেয়ার, সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশে আগে আয় ছিল ২১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা; এখন তা ২২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। পেশা থেকে আগে আয় হতো এক লাখ ৪০ হাজার; এখন হয় এক লাখ টাকা। এর বাইরে এবারে ব্যবসা থেকে আরও ৬০ লাখ ৭১ হাজার টাকার আয় দেখিয়েছেন এবং আরও দুই কোটি ৬২ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছেন শেয়ার এবং ইউএসডি বন্ডের সুদ বাবদ।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে বর্তমানে নগদ টাকার পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা; যা আগে ছিল মাত্র ৩০ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যবসায়িক মূলধনসহ এবারে দেখিয়েছেন ৪৭ লাখ টাকা; যা আগে ছিল এক লাখ ৮০ হাজার টাকা।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৪১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা; স্ত্রীর নামে ৩২ লাখ টাকা। আগে নিজের ছিল ৩৪ লাখ এবং স্ত্রীর ২৭ লাখ টাকা। নিজ নামে আগে শেয়ার ছিল ১৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার; এখন রয়েছে ১৮ কোটি টাকার। আগে স্ত্রীর নামে ছিল শুধু ৫৫ হাজার টাকার শেয়ার; এখন রয়েছে ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকার। সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে নিজ নামে আট কোটি ৯২ লাখ টাকা; যা আগে কিছু ছিল না। স্ত্রীর নামে আগে না থাকলেও এখন রয়েছে ৪৫ লাখ টাকা।

নিজ নামে তার ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাড়ি রয়েছে; ২৪ লাখ টাকার অলঙ্কারাদি এবং অন্যান্য সম্পদ (অগ্রিম, ঋণ প্রদান ও জীবন বীমার প্রিমিয়ামসহ) রয়েছে ১৫ কোটি ৬১ লাখ টাকার।

এর বাইরে স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৪ দশমিক ২৪ একর কৃষি জমি, ১৬ দশমিক ৪৮ একর অকৃষি জমি, শূন্য দশমিক ৫৬ একর অন্যান্য জমি রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ৯২৪ বর্গফুট ও এক হাজার ৪৩ বর্গফুট আয়তনের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত