প্রেস বিজ্ঞপ্তি

০৮ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:২৮

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে প্রবাসী বিনিয়োগ খুবই আশাব্যঞ্জক: প্রতিমন্ত্রী মান্নান

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে প্রবাসী বিনিয়োগ খুবই আশাব্যঞ্জক। পুণ্যভূমি সিলেট ভ্রমণপ্রিয় মানুষের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান।সিলেটে আন্তর্জাতিক মানের আবাসন ব্যবস্থা এখন সময়ের দাবি। এক্সেলসিয়র সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্ট সময়ের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে বলে আমি আশাবাদী।

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট শহরতলির খাদিমপাড়ায় প্রবাসী বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত ইকোপার্ক বেইজ্ড হোটেল এন্ড রিসোর্ট এক্সেলসিয়র সিলেট পরিদর্শনকালে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এক্সেলসিয়র সিলেটের চেয়ারম্যান শাহ জামাল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সাঈদ চৌধুরী, মার্কেটিং ডাইরেক্টর আহমদ আলী, ডাইরেক্টর সৈয়দ এম এ কাইয়ুম সহ পরিচালক ও কর্মকর্তাগন অতিথিবৃন্দকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।

আনুষ্ঠানিক আলোচনায় এক্সেলসিয়র সিলেটের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ডকুমেন্টরি উপস্থাপন করা হলে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান মুগ্ধ হন এবং সকল প্রকার সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, পর্যটন বাংলাদেশের এক অমিত সম্ভাবনাময় খাত। বর্তমান সরকার পর্যটন শিল্পের বিকাশে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই শিল্পের প্রচার ও বিপণন কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করতে সরকার চলতি বছরকে পর্যটন বর্ষ বা ভিজিট বাংলাদেশ ইয়ার-২০১৬ হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিলেট অঞ্চলেও পর্যটনের অপার সম্ভবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে উদ্যোক্তা ও পর্যাটকদের জন্য সবধরনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হবে।

মতবিনিময় কালে বলা হয়, ইউরোপ থেকে এশিয়া বিস্তৃত সড়ক পথ এশিয়ান হাইওয়ে ভারত হয়ে সিলেটে মিশেছে। আর সিলেটের সন্নিকটে রয়েছে ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত সাতটি গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ। এখান থেকে আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় সহ সেভেন সিস্টার্সের অন্যান্য স্থানে ভ্রমণ খুবই সহজ। বিশেষ করে সিলেট-শিলং ট্যুর বেশ আকর্ষণীয়। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এরকম ট্যুরে নিজেও যাবার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এছাড়া সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে এক্সেলসিয়র হয়ে সুরমা গেইট দিয়ে এশিয়ান হাইওয়েতে মিলিত হবার সংযোগ সড়ক বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন এবং উপস্থিত জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ করেন। পর্যটকদের জন্য সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওর ও মৌলবী বাজারের হাকালুকি হাওর দেখার ব্যবস্থা করা হবে জেনে তিনি বেশ খুশি হন। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক সার্বিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান।

সভায় এক্সেলসিয়র সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্টকে আন্তর্জাতিক মানে ঢেলে সাজাবার লক্ষ্যে আগামী তিন বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সাঈদ চৌধুরী।এতে বিশ্বব্যাপী ইকো-ট্যুরিজমের ব্যাপক চাহিদার কথা উল্লেখ করে এই চাহিদা পূরণে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের নান্দনিক ভিলা ও কটেজের আদলে এক্সেলসিয়র সিলেটের সম্প্রসারণ, হ্যালিপ্যাড সুবিধা ও সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।

প্রবাসীরা পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। এতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মানবতার কল্যাণে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে উপস্থিত আলোচকেরা অভিমত ব্যক্ত করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী ইকরামুল ইসলাম চৌধুরী, ডেইলী নিউ নেশনের সিলেট প্রতিনিধি শফিক আহমদ শফি, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধি মকসুদ আহমদ মকসুদ, যুবলীগ নেতা মাছুম বিল্লাহ চৌধুরী, আইডিএলসি’র রিলেশনশিপ অফিসার মশিউর রহমান রনি, এক্সেলসিয়র সিলেটের জেনারেল ম্যানেজার শাব্বির আহমদ চৌধুরী, মার্কেটিং ম্যানেজার মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, কর্মকর্তা আবদুল জলিল লেবু প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত