০৮ অক্টোবর, ২০১৬ ১৫:১৬
মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের জন্মগ্রহণকারী ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন আমাদের জাতীয় রাজনীতির অহংকার আর দেশপ্রেমিক রাজনীতির আলোকবর্তিকা বলে অভিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত স্মরণসভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে কঠোর সংগ্রামের মধ্যদিয়েই অতিক্রম করেছেন সারাটা জীবন। তিনি যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন তা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ভাষা সৈনিক আবদুল মতিনের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত স্মরণসভায় ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া‘র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক কমরেড রফিকুল ইসলাম, এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গণ সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি এস.আল-মামুন, ন্যাপ সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, সম্পাদক বাসন্তী বরুয়া বাবলী, আবদুল্লাহ আল-কাউছারী, সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।
ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ক্ষমতা ভাষা মতিনকে আকৃষ্ট করতে পারে নাই। শুধুমাত্র ক্ষমতাই রাজনীতির উদ্দেশ্য হতে পারে না, তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেটারই প্রমাণ রেখেছেন। মওলানা ভাসানী পরবর্তী ক্ষমতার বাইরে থেকেও জনগণের কল্যাণ করা যায়, তার সার্থক প্রমাণ করেছেন ভাষা মতিন।
সভাপতির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ১৯৫২ সালে বাংলা মায়ের ভাষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন, বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে ১৯৫৭ সালে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ন্যাপ গঠন করলে তিনি তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান। আমৃত্যু তিনি সাধারণ মানুষের অধিকার আদায় ও তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবতীর্ণ ছিলেন।
এসময়ে তিনি আরো বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদের মানবতাবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে রাজনীতির মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন ভাষা মতিন। তিনি স্পষ্টত বলতেন উৎপীড়িতের কান্না না থামা পর্যন্ত, সাম্রাজ্যবাদী ও লুটেরা অত্যাচারী শক্তি স্তব্ধ না হওয়া অবধি তার সংগ্রাম চলবে।
সভায় আলোচকবৃন্দ বলেছেন, ভাষা সৈনিক আবদুল মতিনের আপোষহীন রাজনীতি ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলো অত্যাচারী শাসকশ্রেণীর, স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও সাহসী করে তুলেছিল সাধারণ মানুষকে। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকল মানুষকেই অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ করার সংগ্রাম আজীবন করেছেন তিনি।
আপনার মন্তব্য