সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ নভেম্বর, ২০১৬ ২২:০৪

সিলেটে প্রথম আলোর ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

‘বয়স আমার আঠারো। এ বয়স হার মানার নয়। যখন নিজের চোখের সামনে চাপাতির আঘাতে একটি মেয়েকে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়তে দেখি, তখন বিবেক আপনা-আপনিই নাড়া দিয়ে ওঠে। বিবেকের তাড়নায় দৌঁড়ে এগিয়ে যাই খাদিজা আপুকে উদ্ধার করতে। খাদিজা আপু এখনও চিকিৎসাধীন। আশার কথা, তিনি এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।’
    
শনিবার বিকেল চারটায় সিলেটে প্রথম আলোর ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ নেতার চাপাতির কোপে আহত খাদিজা বেগমকে উদ্ধারকারী তরুণ মো. ইমরান কবির এমন স্মৃতিচারণা করলেন। গত ৩ অক্টোবর বিকেলে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে আহত করেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। ঘটনা প্রত্যক্ষ করে খাদিজাকে বাঁচাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন তরুণ এই ইমরান।

ইমরান কবির আরও বলেন, ‘আমার মতো অসংখ্য তরুণ প্রথম আলোকে মনেপ্রাণে ভালোবাসেন তাদের সামাজিক কর্মকান্ডের কারণে। পত্রিকাটির সংবাদ ও ফিচারের গুণগত মান এবং তারুণ্যনির্ভরতা আমাদের স্বপ্ন দেখায়, সাহস দেয়। আমরা প্রথম আলোকে ভালোবাসি। আমাদের মতো তরুণদের কাছে প্রথম আলো আদর্শ ও উদ্দীপনার নাম।’

ইমরানের পর বক্তব্য দেন আঠারো বছরের আরেক তরুণী সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির এক্টিভিস্ট সিদরাত মুনতাহা।

আলোচনা পর্বের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আঠারো বছরের তরুণ-তরুণীরা সংগীত পরিবেশন করেন। এর মধ্যে সানি রায়, সুকন্যা শৈলী, মীম, মিতু চন্দ উল্লেখযোগ্য।

আঠারো বছরের নাট্যকর্মী জান্নাতুল নাজমীন আশার সঞ্চালনে সমাপণী বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সিলেট প্রতিনিধি সুমনকুমার দাশ। এর আগে সিলেটের সুধীজনদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ ছাড়া প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির ১৮ জন সদস্য প্রথম আলোর ফেস্টুন নিয়ে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করেছে। পুরো অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেছে প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেটের সভাপতি চৌধুরী মাহবুব পলাশ ও বন্ধুসভার সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মো. আরশ আলী, কবি তুষার কর, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ এ এফ মুজতাহিদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সিলেটের সভাপতি মো. ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, ওভারসিজ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সামসুল আলম, আবৃত্তিকার মোকাদ্দেস বাবুল, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরী, বাউল আবদুর রহমান, বাউল বশিরউদ্দিন সরকার, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজের পরিচালক মুকির হোসেন চৌধুরী, সিলেট জেলা খেলাঘরের সভাপতি তাজুল ইসলাম বাঙালি, শিশু একাডেমির জেলা সংগঠক সাইদুর রহমান ভূইঞা, সমাজকর্মী বিজয়কৃষ্ণ বিশ্বাস, সিলেট কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমর বিজয় সী শেখর, কবি পুলিন রায়, সিলেট কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমাদ দীন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের পরিচালক চম্পক সরকার, সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু, সাবেক পরিচালক নিরঞ্জন দে, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মনির হেলাল, সাবেক সভাপতি অনুপ কুমার দেব, নাট্যসংগঠক মু. আনোয়ার হোসেন রনি, এনামুল মুনীর, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সহসভাপতি আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত, সাবেক সহসভাপতি খোয়াজ রহিম সবুজ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম সিংহ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কিম, কবি সঞ্জয় কুমার নাথ, নাট্যসংগঠক হুমায়ূন কবীর জুয়েল, ইন্দ্রানী সেন, মোস্তাক আহমদ, গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবু, এসিড সন্ত্রাস নির্মূল কমিটি সিলেটের সাধারণ সম্পাদক জুরেজ আব্দুল্লাহ গুলজার, পরিবেশকর্মী কাসমির রেজা, শাবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপক সরকার সোহেল রানা, ব্যাংক কর্মকর্তা-লেখক পার্থ তালুকদার, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হীরা লাল গোপ, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক প্রণবকান্তি দেব, সাংবাদিক ফয়সল আহমদ বাবলু, এস সুটন সিংহ, আবুল মোহাম্মদ, সজল ছত্রী, মির্জা সুহেল, তুহিনুল হক তুহিন, ইয়াহিয়াহ মারুফ, সংগীতশিল্পী শান্তুনু সেন তাপ্পু, নাট্যকর্মী সুপ্রিয় দেব, অরূপ বাউল, ইয়াকুব, সংস্কৃতিকর্মী সুকান্ত গুপ্ত, সুমন্ত গুপ্ত প্রমুখ।    

আপনার মন্তব্য

আলোচিত