সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০২:০১

সিলেটে প্রথমবারের মতো ‘বিজয় ফুল’ কর্মসূচির সূচনা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সিলেটে প্রথমবারের মতো ‘বিজয় ফুল’ কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। সিলেট নগরীতে এই কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছেন ফরিদা নাসরিন।

তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. শামসুদ্দীন আহমদ ট্রাষ্ট এর ট্রেজারার, হুসনে আরা ফাউন্ডেশন ও মহিলা কলেজ অ্যালামনাই এর ভিপি, ইন্টারন্যাশনাল ইনার হুইল এর সেক্রেটারী এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. শামসুদ্দিন আহমদের ভাগ্নি।

এই কর্মসূচিতে আরও সংশ্লিষ্ট আছেন উইমেন ওয়ার্ডস এর সম্পাদক ও শতভিষার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অদিতি দাস, সাংবাদিক ও নাট্যকর্মী উত্তম কাব্য, সংস্কৃতিকর্মী সজীব কর্মকার ও সাগর দাস জন।

বৃহস্পতিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আগত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে প্রায় ১২০টি বিজয় ফুল পরিয়ে দেয়া হয়।

সর্বপ্রথম যুক্তরাজ্যে বিজয় ফুলের যাত্রা শুরু হয়। কবি শামীম আজাদ ১৯৯৮ সালে প্রথম ‘বিজয় ফুলে’র ধারণা প্রচার শুরু করেন। গত কয়েক বছরে যুক্তরাজ্য ছেড়ে এ কর্মসূচি ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশে।

বাংলাদেশের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার প্রতীকসহ আমাদের গৌরব একাত্তরের বিজয়গাথা নিয়ে বিজয় ফুলের যাত্রা। বিজয় ফুল মনে করিয়ে দেয় মুক্তিযুদ্ধের অবদান, স্বাধীনতা ও আমাদের নাগরিক অধিকারসহ রক্তাক্ত সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কথা।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারীদের স্মরণে ব্রিটেনসহ আরও কয়েকটি দেশে চালু থাকা পপি ফুল পরার চল দেখে এই ‘বিজয় ফুল’ চালু করার ধারণা পান কবি শামীম আজাদ। তাঁর একটি লেখায় তা উল্লেখ করেন এভাবে, ‘কয়েক বছর আগের এক শীতার্ত নভেম্বর। হুইল চেয়ারে করে ব্রিটিশ রয়্যাল লিজিওনের হয়ে মহাযুদ্ধের স্মারক টুকটুকে লাল কাগজের পপি বিক্রি করছিলেন ইংরেজ বৃদ্ধ টেড স্টকওয়েল। নিজেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধফেরত আহত সেনা। তাঁর কাছেই শোনেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পর বেলজিয়ামের প্রাণহীন বিশুষ্ক ভূমিতে প্রথম ফোটা ফুল পপি। সেই থেকেই হাতে তৈরি পপি বিক্রি করা, বিক্রয়লব্ধ অর্থে মৃত সৈনিকদের সাহায্য করা।’ এখন পাশ্চাত্যে তা এক বিশাল ব্যাপার। এই প্রণোদনা থেকে তাঁর মনে হয় একাত্তরের ডিসেম্বরের সেই বিস্ময়কর সময়েই তো ফুটেছিল বাংলাদেশের সবচাইতে সুন্দর ফুল। পতাকার ঘন সবুজে যে রক্তিম সূর্য উঠেছিল, তারই রূপকল্পেই তো হতে পারে আমাদের ‘বিজয় ফুল’।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত