সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ মার্চ, ২০১৮ ১৯:২৩

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সাথে সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ

দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদের নেতৃত্বে চেম্বার নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে ও সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভ করেছি। অচিরেই বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে।

তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সফলতার কথা সভায় তুলে ধরেন। তিনি সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবসমূহ যথাযথভাবে বিবেচনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি আগামী ২৭-২৮ এপ্রিল তার সিলেট সফরকালে চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ তাঁর বক্তব্যে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হওয়ার জন্য মো. নজিবুর রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীদের কল্যাণে অত্যন্ত আন্তরিক। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প ও আইটি খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যার মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন, হাইটেক পার্ক নির্মাণ ইত্যাদি অন্যতম। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরকালে বিভাগীয় চেম্বার হিসেবে সিলেট চেম্বারের সভাপতি বা প্রতিনিধিকে সফরসঙ্গী করা, সিলেটে গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু করা, সিলেট-ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে রেলের নতুন বগি সংযোজন, রেললাইন সংস্কার ও সেবার মান বৃদ্ধিকরণ, সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ রাস্তার কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন, দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের সাথে মিল রেখে তামাবিল স্থলবন্দরের পোর্ট চার্জ নির্ধারণ, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রীন চ্যানেলের শতভাগ সুবিধাদি চালুকরণ, সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালুকরণ ও শ্রীহট্ট ইকোনমিক জোনের প্রচারণার জন্য রোড-শো’র ব্যবস্থা করা, ভ্যাট কর্মকর্তাদের অভিযানের সময় চেম্বারের প্রতিনিধিকে সাথে রাখা, রমজান মাসে সিএনজি পাম্পসমূহ সার্বক্ষণিক খোলা রাখা সহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।

এছাড়াও তিনি বলেন, লেবার কোর্ট চট্টগ্রামে থাকায় ব্যবসায়ীরা সময় ও আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই তিনি ব্যবসায়ীদের কষ্ট লাঘবের জন্য সিলেটে লেবার কোর্ট চালু করার অনুরোধ জানান।

এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সচিব হুসনে আরা বেগম, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদ আহমদ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক সালাহ্ উদ্দিন আলী আহমদ, পরিচালক মো. সাহিদুর রহমান, আমিরুজ্জামান চৌধুরী, এহতেশামুল হক চৌধুরী, আব্দুর রহমান, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, মো. আব্দুর রহমান (জামিল), হুমায়ুন আহমেদ, মুজিবুর রহমান মিন্টু প্রমুখ।

এছাড়াও এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত