সিলেট টুডে ডেস্ক

২৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ১৯:০৮

এবারের বিশ্বকাপে নতুন নিয়ম, নতুন আকর্ষণ

আইসিসির নতুন নিয়মে এবারের বিশ্বকাপে মাঠে নামবে ১৪টি দেশ। দলগুলোর জন্য কিছুটা সমস্যাই হতে পারে আইসিসির এই নতুন নিয়ম।


আইসিসির নতুন নিয়মে এবারের বিশ্বকাপে মাঠে নামবে ১৪টি দেশ। দলগুলোর জন্য কিছুটা সমস্যাই হতে পারে আইসিসির এই নতুন নিয়ম। তবে,অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এবারের বিশ্বকাপে আইসিসির এই নিয়ম অস্ট্রেলিয়া দলে তেমন কোন প্রভাব নাও ফেলতে পারে বলে ধারণা করছে অস্ট্রেলিয়া দল।
এবারের বিশ্বকাপে প্রতি দলকেই কমপক্ষে টপ ৬ জন খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নামতে হতে পারে।এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রতি খেলোয়াড়তো ১০-১২ রান করার সামর্থ্যই রাখে। যেখানে অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য সমস্যাটা কিছুটা কম হবে বলেই মনে করছে স্বাগতিক।

আইসিসির এই নতুন নিয়মে পেসার বোলাদের প্রতি ওভারে দুইটি বাউন্সিং বল গ্রহণযোগ্য। এমনকি ৫০ ওভারের পুরো খেলা জুড়ে ব্যবহার করতে পারবে দুটি নতুন বল। তবে, এই নিয়ম দলকে তেমন কোন সমস্যায় না ফেললেও ৩০ গজ সার্কেলের বাহিরে ৪ জন ফিল্ডার রেখে বল করাটা সমস্যায় ফেলতে পারে দলকে।
এদিকে, স্পিনারদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার পিচ তেমন সহায়ক হবেনা। তাছাড়াও স্পিনারদের বোলিং অ্যাকশনের প্রতি নজরদারি রাখা হচ্ছে।

বেশিরভাগ নতুন মুখ নিয়েই আইসিসির নিয়ম লড়বে এবারের বিশ্বকাপ দলগুলো। নতুন মুখের ভিড়ে কিংবদন্তিদের সংখ্যাটাই লঘু এবারের বিশ্বকাপে।

এ বিশ্বকাপে আম্পায়ারদের সুবিধার্থে নতুন প্রযুক্তি এনেছে আইসিসি। এ প্রযুক্তিতে থাকছে হটস্পট, রিয়েল টাইম স্নিকোমিটার। এমনকি এলবিডব্লিউ সঠিকভাবে দেখার জন্য থাকছে বলট্র্যাকিং প্রযুক্তি।

সুপারওভার বিতাড়িত করা হয়েছে এই বিশ্বকাপে। আইসিসির এই নিয়মে ফাইনালে যদি ম্যাচ ড্র হয় তবে যৌথভাবে জয়ী হবে দুই দলই। সেমিফাইনাল পর্বে কোন ম্যাচ ড্র হলে ঐ দুই দলের মধ্যে সুপারসিক্সের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে স্থানকারী দল ফাইনালে খেলার জন্য লড়বে।

এমনকি ৪০ ওভারের আগেই ব্যাটিং পাওয়ারপ্লে বিষয়টি দলের জন্য কিছুটা ভাবান্তরের বিষয়। কারণ এর আগে ব্যাটিং পাওয়ারপ্লে ৪৫ ওভার পর্যন্ত নিতে পারত ব্যাটসম্যানরা।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে বোলারদের বোলিং নৈপুণ্যতা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। ৩৫০ রানের লক্ষ্যে নেমে কম সংখ্যক দলই পরাজিত হয়েছে। এত বড় রানের লক্ষ্যে নেমেও খুব কম সংখ্যক রানের ব্যবধানে দলগুলো প্রতিযোগিতা করে হেরেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, আইসিসির এই নতুন নিয়মে রানের লক্ষ্য বড় হলেও দলগুলোর জেতায় কোন সমস্যা হবে না।

এবারের বিশ্বকাপে প্রাইজমানিতে ২৫% বৃদ্ধি করে পরিবর্তনের ছোঁয়া এনেছে আইসিসি। এই প্রাইজমানি ৮ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছে।প্রতি বিশ্বকাপেই আইসিসির নিয়মের পরিবর্তন দেখা যায়। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে খেলোয়াড়রা পরিচিত হয়েছিল ৩০ গজ সার্কেলের। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের প্রত্যাবর্তন হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। এরপর ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে পরিবর্তন আসে রঙিন পোশাকের মধ্য দিয়ে। এমনকি, ওয়ানডে ম্যাচে সাদা বলের পরিচয়টাও ঘটেছিল এই বিশ্বকাপে। শুধু তাই নয়, ডে-নাইট ম্যাচের খেলাটাও শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপেই।

উল্লেখ্য, ২০১১ বিশ্বকাপের পরে আইসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ২০১৫ বিশ্বকাপে ১০টি দল নিয়ে আয়োজন করা হবে। কিন্তু, আইসিসির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলো এবারের বিশ্বকাপের আয়োজককারী দেশ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। এরপর, আইসিসি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় ১৪ দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনে।



আপনার মন্তব্য

আলোচিত