স্পোর্টস ডেস্ক

২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১৮:৪৪

আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের ২৮২

পাকিস্তান-আফগানিস্তানের ওয়ানডে পরিসংখ্যানকে পাশে রাখলে বলা যায়, ম্যাচের আগেই জিতে গেছে পাকিস্তান। কারণ আগের ৭ বারে দেখায় প্রতিবারই জিতেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপে দুই দলের সাম্প্রতিক ফল যদি দেখা হয়, তবে আফগানদের আশাবাদী হওয়ার সুযোগ আছে বৈকি!

প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের পরের দুই ম্যাচে হার—হঠাৎ মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখা পাকিস্তানের জন্য এখন প্রতিটি ম্যাচই ‘বাঁচামরা’র। নয়তো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নটা বিসর্জন দিতে হবে! সেই লক্ষ্যে চেন্নাইয়ে আজ আফগানিস্তানকে ২৮৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল। ওপেনিং জুটি ভাঙে ৫৬ রানে, ইমাম-উল-হকের (১৭) রানের বিদায়ে। এরপর অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়েন আরেক ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক। তার আগে এক ছক্কায় পাকিস্তানের ১৬ মাস ও ১৩৬২ বলের খরাও কাটান তিনি। পাওয়ার প্লেতে এই সময় পর ছক্কা মারতে পারল পাকিস্তান।

শফিক-বাবরের ছোটার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান নুর আহমেদ। ব্যক্তিগত ৫৮ রানে আফগান স্পিনারের এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তিনি। দলের স্কোরবোর্ডে রান তখন ১১০, তার সঙ্গে আর ১০ রান যোগ হতেই নুরের আরেকটি আঘাত। এবার ফেরেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান (৮)। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করা বাবরকেও ফেরান তিনি।

তার আগে দলের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌদ শাকিল (২৫)। বাবর ফেরার আগে শাকিল ও শাদাব খানের সঙ্গে করেন সমান ৪৩ রানের জুটি। পাকিস্তান ৭ উইকেটে ২৮২ রানের লড়াকু পুঁজি পায় শাদাবের সঙ্গে ইফতিখার আহমেদের ষষ্ঠ উইকেটে ৪৫ বলে ৭৩ রানের জুটিতে। নাভিন-উল-হককে উইকেট দেওয়ার আগে দুজনই করেছেন সমান ৪০ রান। ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত