
৩০ অক্টোবর, ২০২৩ ০১:৫৬
আগের পাঁচ ম্যাচের মধ্যে কেবল বাংলাদেশের বিপক্ষেই জিতেছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, অপরদিকে টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ী দল ভারত। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের জয়ের বিকল্প ছিল না। কিন্তু হেরে গেছে তারা, ছোট টার্গেটের ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে।
টার্গেট ছিল ২৩০ রান, কিন্তু সেটাও করতে পারেনি। মাত্র ১২৯ রানে অলআউট ইংলিশরা।
টস জিতেছিল ইংল্যান্ড। প্রথমে ফিল্ডিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতকে মাত্র ২২৯ রানে আটকে রেখেছিলেন বোলাররা। অথচ ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সেই রানও করা হয়নি তাদের।
অন্যদিকে টানা ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জয় পেয়ে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন ভারত।
ভারতের ছোট লক্ষ্যে ঝড়ো শুরু করেছিল ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিল মালান। তবে সেই ঝড়ের গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে আসে; বুমরাহ পঞ্চম ওভারে এসে পরপর দুই বলে মালান ও জো রুটকে ফেরালে। এরপর বেন স্টোকসও ফিরে যান রানের খাতা না খুলেই। চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হন বেয়ারস্টো ও অধিনায়ক জস বাটলার। বুমারাহ-শামির আগ্রাসী বোলিংয়ে ৫২ রানে পাঁচ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
ক্রিজে তখনও দুই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মঈন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন। অলৌকিক কিছুর অপেক্ষায় ইংল্যান্ডের সমর্থকরা। সেই স্বপ্নটা অবশ্য মোহাম্মদ শামি ভেঙে দেন দ্বিতীয় স্পেলে এসেই। মঈনকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন শামি। এরপর এক ধাক্কায় ইংল্যান্ডের লক্ষ্যটা পরিণত হয় হারের ব্যবধান কমানোর। লিভিংস্টোনে ভর করে সেটা সেই পর্যন্ত কমেছে বইকি। ইংল্যান্ড ম্যাচ হেরেছে ১০০ রানে।
এর আগে বিশ্বকাপের ষষ্ট ম্যাচে লক্ষ্ণৌয়ে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪০ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুলের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে দলটি। তবে এরপর ফের হুঁচট খায় ভারত। রোহিতের ব্যাট থেকে আসে ৮৭ ও রাহুল থামেন ৩৯ রানে। এ দু’জনের পর শেষ দিকে সূর্যকুমার যাদবের ৪৯ রানে ভর করে ইংল্যান্ডকে ২২৯ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে ভারত।
আপনার মন্তব্য