ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ২০:৫৫

মিরাজদের সামনে স্বপ্ন ছোঁয়ার মিশন

অনেকবার সম্ভবনা জাগিয়েও যুব বিশ্বকাপের শেষ চারে জায়গা পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। সবচেয়ে ভাল ফল তাই ২০০৬ সালে পঞ্চম হওয়া। সেবার মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্ব দলে ছিলেন সাকিব-তামিমের মত ক্রিকেটার।  এবার ২০০৬ সালের ফলকে ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভবনাই সবচেয়ে উজ্জ্বল। শেষ চারে উঠার মিশনে শুক্রবার মেহেদি হাসান মিরাজের দলের সামনে যে নেপাল।

নেপালকে ছোট করে দেখছেন না বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক। তবে গত কয়েকমাস দুর্দান্ত খেলতে থাকা বাংলাদেশ স্বাভাবিক খেলতে পারলে নেপাল যে বড় কোন বাঁধা নয় সকলেই তা জানেন। অন্তত ২০০৬ সালের কোয়ার্টার ফাইনাল প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের তুলনায় তো সহজ বলতেই হবে।
 
বাংলাদেশ কোচ ও কাপ্তাতের দৃষ্টি অবশ্যই আরেকটু স্বপ্নের শেষ দ্বারে। অকপটেই বলছেন যুব বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলতে প্রস্তুত তারা। আর সেটা হলে হয়ে যাবে ইতিহাস। যেকোন পর্যায়ে ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্য হবে অনন্য অর্জন।

এর আগে যুব ওয়ানডেতে একবারই নেপালের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। সেটি ২০০২ বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুল, আফতাব আহমেদ, নাফিস ইকবালদের নিয়ে গড়া দলকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল নেপাল। ২০০২ বিশ্বকাপে পাওয়া সেই জয়ই এবার নেপাল শিবিরকে আত্ববিশ্বাস যোগাচ্ছে।

কোয়ার্টার ফাইনালের আগে নেপাল দল তাদের অধিনায়কের বয়স নিয়ে ঝামেলায় পড়েছে। তবে তা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয় তারা। বরং সেই সমস্যা পাশ কাটিয়ে নেপাল কোচ বলেন, ‘আমাদের এই দলটা বেশ ভালো। ছেলেরা কয়েকমাস ধরে ভালো ক্রিকেট খেলছে। তার ফলাফলও আমরা ইতোমধ্যে গ্রুপ পর্ব পেয়েছি। আমাদের দলে ভালো স্পিনার ও ব্যাটসম্যান রয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে সেরাটা দেয়ারই চেষ্টা করে আমার দল।’

তবে আগে কি হয়েছিল তা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাতে চান না মিরাজ-শান্ত-পিনাকরা। সবার আগে সেমিফাইনালে পা রাখতে আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামছেন ইয়াং টাইগাররা।

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শেরে-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ম্যাচ দেখা যাবে স্টার স্পোর্টস-১, বিটিভি, গাজিটিভি ও মাছরাঙা টিভিতে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত