ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১৬:১২

সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৬

অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও উইকেট রক্ষক-ব্যাটসম্যান জাকির হাসানের অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটি এবং জয়রাজ শেখ, পিনাক ঘোষের ত্রিশোর্ধ্ব দুটি ইনিংসের উপর ভর করে নেপালকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মত আইসিসি'র কোন টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে যাওয়ার গৌরব অর্জন করল বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ইতিহাস রচনার ম্যাচে টার্গেট ছিল ২১২। নেপালের বোলিং এটাকের বিবেচনায় একবারেই মামুলি। তবে সেই ২১১ রানের পুঁজি নিয়েই তাল মিলিয়ে লড়াই করল নেপাল।

দুই ওপেনার পিনাক ও সাইফ শুরুই করলেন মন্থর গতিতে। পুরো টুর্নামেন্টেই আড়ষ্টতায় ভোগা সাইফ হাসান ২১ বলে ৫ রান করে ফেরার পর জয়রাজকে নিয়ে ধীরেসুস্থেই এগোচ্ছিলেন পিনাক ঘোষ তবে অদ্ভুতুড়ে এক রান আউটে পিনাক ৩০ রান করে ফিরে গেলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

চাপ আরও দ্বিগুণ হয়ে যায় দারুণ ফর্মে থাকা শান্ত সন্দীপ লেমিচান্নের বলে আউট হয়ে গেলে। অতিরিক্ত মন্থর উইকেটে বলের পেছনে গিয়ে চমৎকার খেলছিলেন জয়রাজ শেখ। ৩৮ রান করে জয়রাজ লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নিলে খেলায় তীব্রভাবে ফিরে আসে হিমালয়ের ছেলেরা।

তবে পঞ্চম উইকেট  অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকির হাসানের  ১১৭ রানের জুটিতে ব্যাটিং সকল আশঙ্কা দূরে ঠেলে দেয়।

দুজনেই তোলে নেন অর্ধশত রান। বাঁহাতি জাকির অপরাজিত  ছিলেন ৭৫ রানে। অধিনায়ক মিরাজের সংগ্রহ ৫৫।

এর আগে  টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে নেপালকে একেবারেই অল্প রানে বেঁধে রাখা কঠিন ছিল। হয়ও নি তা।

হিমালয়সম কোন টার্গেট দিতে না পারলেও সামর্থ্যের তুলনায় বেশ ভদ্রস্থ সংগ্রহই বাংলাদেশের সামনে দাঁড় করিয়েছিল হিমালয়ের দেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ২১১ রান তোলেছিল তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত