স্পোর্টস ডেস্ক

০৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ২০:৩০

সাঁতারে শীলা আনলেন আরেকটি স্বর্ণ, ফেডারেশনের প্রতি ক্ষোভ

দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে (এস এ গেমস) সুইমিং পুলে নেমেই  একের পর এক ঝড় তুলেই চলেছেন মাহফুজা আক্তার শীলা। ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকের পর এবার ৫০ মিটারেও সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের এই সোনার মেয়ে। এসএ গেমসে সাঁতারে ১০ বছর স্বর্ণ বঞ্চিত বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন দুটি  স্বর্ণ।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি)  বিকেলে গুয়াহাটির ড. জাকির হোসেন অ্যাকুয়াটিম কমপ্লেক্সে মেয়েদের ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে ৩৪.৮৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনার পদকটি জেতেন মাহফুজা। শ্রীলঙ্কার হাসান্থি নুগাওয়েলা (৩৫.৬৯ সেকেন্ড) ও রামুদি সামারাকুন (৩৫.৯৯ সেকেন্ড) যথাক্রমে রূপা ও ব্রোঞ্জ পেয়েছেন।

২০০৬ সালে সর্বশেষ সাঁতার থেকে সোনার পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১০ সালের আসরে নিজেদের পুলে ৬টি রুপা ও ১০টি ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ সাঁতারুরা। তবে জয়ের পর ফেডারেশনের অসহযোগিতায় ক্ষোভও জানালেন শীলা।

 নতুনদের জায়গা করে দেওয়ার যুক্তিতে গত বছর থাইল্যান্ডে নাজমা খাতুনকে উন্নত প্রশিক্ষণ নিতে পাঠিয়েছিল ফেডারেশন; শীলা চলে গিয়েছিলেন আড়ালে। সে ক্ষোভই এবার জানালেন তিনি।

“খেলা থেকে দূরে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পার্ক তে গুন (কোচ) আসার পর বললেন, ‘শীলা তোমার দ্বারা সম্ভব। তখনই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি’।”

“আমাকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল ফেডারেশন। আমার মতো এমন অনেক অ্যাথলেটকে পেছনে ঠেলে দেওয়া হয়। আমি ফেডারেশন কর্মকর্তাদের অনুরোধ করবো, মেয়েদের পেছনে ঠেলে না দিয়ে এগিয়ে আসার সুযোগ করে দিন,” যোগ করেন এই স্বর্ণ কন্যা।

দ্বিতীয় সোনা জেতার পর টাইমিং আরও ভাল হতে পারত বলেও মনে করেন তিনি, “আমি বলবো টাইমিংটা আরও ভাল হতে পারতো। জানি না, কেন তা হলো না। হয়তো আমি একটু নার্ভাস ছিলাম। হিটে টাইমিং ভাল হয়েছে; আরও ভাল হতে পারত।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত