ক্রীড়া প্রতিবেদক

১১ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১১:৩৬

মিরাজের অর্ধশতকে ক্যারিবিয়ানদের ২২৭ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ঘন কুয়াশার মধ্যে দারুণ ফর্মে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্দান্ত পেস আক্রমণের সামনে বাংলাদেশ যুব দলের অধিনায়ক মিরাজ আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে পারেন নি। ফাইনালে উঠার ম্যাচে ইনিংসের অর্ধেক পেরোতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে অবশ্য টেনে তোলেছেন। তাঁর অর্ধশতকে শেষ পর্যন্ত দলীয় সংগ্রহ দুইশত পার হয়। ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হবার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২৬ রান।

কুয়াশায় পেস বান্ধব হওয়া পিচে  ৮৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ২৮তম ওভারে ১১৩ রানেই ফিরে যান  টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যান। যার মধ্যে ২১ রানই আসে অতিরিক্ত খাত থেকে।
পরে সাইফুদ্দিনকে নিয়ে ৮৫ রানের জুটি গড়ে ভালো জবাব দিতে থাকেন দারুণ পরিণত ব্যাট করতে থাকা মিরাজ। তবে ৪৭ তম ওভারে রানের চাকা বাড়াতে গিয়ে মিরাজ ৬০ রানে বিদায় নেয়ার পরের বলেই সাইফুদ্দিনও বোল্ড হয়ে ফিরে গেলে আড়াইশ রানের আশা শেষ হয়ে যায় জুনিয়র টাইগারদের।  

সকালে টস হেরেও বোলিং পেয়ে কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে খেলার শুরু থেকেই ক্যারিবিয়ান পেসার জোসেফ ও হোল্ডার একের পর এক বাউন্সারে কাঁপুনি ধরিয়ে দেন। কিছু আলগা বল করলেও সাফল্য পেতে সময় লাগেনি তাদের।

কুয়াশায় ঘেরা মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মাত্র ২৭ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে মিরাজ বাহিনী। তাদের পথ ধরেই হাঁটেন দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান জয়রাজ শেখ ও নাজমুল হাসান শান্ত। ২২তম ওভারে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ৩৫ রান করা জয়রাজ। তার আগেই দলীয় ৫৮ রানে মিরাজ আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত ১১ রানে। দলীয় ১১৩ রানের মাথায় ২৪ রান করা ইনফর্ম জাকিরকে বোল্ড করে দেন হোল্ডার।

ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে পল সর্বোচ্চ ৩টি, হোল্ডার ২টি ও স্পিরংগার ২টি উইকেট পেয়েছেন। অল্প পুঁজি নিয়ে জেতার জন্য বাংলাদেশের বোলারদের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ। যদিও তাদের যোগাবে সাম্প্রতিক অতীত। জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দলটি বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের সামনে এক ম্যাচেও ২১৮ রানের বেশি করতে পারেনি ( তিন  ম্যাচে তাদের স্কোর ছিল ১১৪,১২৮ ও ২১৮)।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত