১৪ মার্চ, ২০১৬ ০০:৫৬
১৯৯০ সালের ৩১ ডিসেম্বর এশিয়া কাপের তৃতীয় ম্যাচে কলকাতার বিখ্যাত ইডেন গার্ডেনে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর দীর্ঘ ২৬ বছরে গঙ্গা ও পদ্মা দিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল। ওইসময়ের 'পুঁচকে' বাংলাদেশে হয়ে উঠেছে এশিয়ার অন্যতম সেরা ক্রিকেট শক্তিতে। পেয়েছে ওয়ানডে ও টেস্ট স্ট্যাটাস। বাংলাদেশের সাকিব, মুস্তাফিজরা হয়েছেন বিশ্বসেরা। তবে বাড়ির পাশের কলকাতায় আর দল হিসেবে নামা হয়নি বাংলাদেশের।
ঐ একবারই। এরপর আর আমন্ত্রণই যে পায়নি ভারতের কাছ থেকে। আইপিএল খেলার সুবাদে এই দলের মধ্যে ইডেনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে কেবল সাকিব ও মাশরাফির।
এবার তাই দীর্ঘ ২৬ বছর পর এই মাঠে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। আগামী ১৬ মার্চ টাইগারদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে এই মাঠে বাংলাদেশের রয়েছে মোট দুটি ম্যাচ।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের দিন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।
২৬ বছর আগের ওই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সাথে ৭১ রানে হেরেছিল মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর দল। সেসময় বাংলাদেশের হারটাই ছিলো স্বাভাবিক ঘটনা। তবে সেই ম্যাচে ৭৮ রানের এক দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন তখনকার বাংলাদেশের ব্যাটিং এর অন্যতম ভরসা ও বর্তমানে জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খান।
২৬ বছরের বদলে যাওয়া প্রেক্ষাপটে এখন বাংলাদেশের জেতাটাই স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অবিভক্ত বাংলার দুই অংশ পশ্চিম আর পূর্ব সময়ের স্রোতে আলাদা হলেও রয়ে গেছে নাড়ির সম্পর্ক। একসময়ের পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানী শেকল ভেঙে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। আবার যখন কলকাতায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা নামবেন তখন ওপার বাংলার সমর্থনও তাই কিছুটা প্রত্যাশিত। ১৬ মার্চ দুপুরে স্টেডিয়ামের সাউন্ড বক্সে যখন বেজে উঠবে - "আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি" তখন কি অস্ফুট স্বরে গলা মেলাবেন না ওপার বাংলার মানুষ। এই গানের সাথে যে তাদেরও সম্পর্ক সুদৃঢ়।
১৮৬৪ সালে তৈরি হওয়া ইডেন গার্ডেনের রয়েছে উজ্জ্বল ইতিহাস। এখানে হয়েছে বিখ্যাত অনেক ম্যাচ। অবিভক্ত ভারতে ১৯৩৪ সালে প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এই মাঠেই। ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল তখনো ভারতকেই শাসন করতে থাকা ইংল্যান্ড।
আপনার মন্তব্য