নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ মার্চ, ২০১৫ ২২:২৯

কি হবে রণকৌশল?

সঠিক কৌশল ঠিক করতে নানান হিসেব নিকেশ

শলাপরামর্শরত কোচ ও অধিনায়ক

কি হতে যাচ্ছে ১৯ মার্চে বাংলাদেশের ভারত বধের রণকৌশল? স্পিন নাকি পেস? ৮ ব্যাটসম্যান নাকি ৫ বোলার? নাকি ৪ পেসার? টস জিতে আগে ব্যাটিং নাকি রান চেজে যাওয়া এসব নিয়ে জল্পনা কল্পনা সর্বত্র।

এমসিজিতে এবারের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সাথে একটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় পিচ সম্পর্কে একটা ধারনা আছেই। বড় ভাবনা তাই টিম কম্বিনেশন নিয়ে।  স্পিনে ভারতকে আটকানো অনেক কঠিন। এমসিজির মাঠে ন্যাটা স্পিন যে খুব এফেক্টিভ হবে না সেটাও অজানা নয়। দলে যদি স্পেশালিষ্ট কোন অফস্পিনার বা লেগস্পিনার থাকত সে ছিল ভিন্ন কথা। কাজেই তাইজুল কিংবা সানিকে একাদশে রাখার ঝুঁকি নেয়া যাবে না বোধহয় ।

বাউন্সি বলে ভারতীয়দের দুর্বলতার কথা বিবেচনায় ৪ পেসার খেলানোর ব্যাপারেও হচ্ছে আলোচনা। সেক্ষেত্রে একজন ব্যাটসম্যান কমে যায়। বড় টার্গেটে যদি চেজ করতে হয় তাহলে ৮ ব্যাটসম্যানই নিরাপদ কোচ ও অধিনায়কের কাছে।

মিডল অর্ডার এবং লোয়ার মিডল অর্ডার নির্ভার রেখেছে কোচকে, সমস্যা ওপেনিং নিয়েও। তবে ভারত ম্যাচেও এই জায়গায় পরিবর্তন হবে নাকি তামিমের সাথে ইমরুলই নামবেন সে সিদ্ধান্ত কতগুলো 'যদি' , 'কিন্তু' উপরে ঝুলে আছে। ইমরুলকে যদি বাদ দেয়া হয় দলে আসবেন মুমিনুল। ওপেনিং এ উঠে যাবেন সৌম্য। ওয়ানডাউনে তাঁর জায়গা নিবেন মুমিনুল। বাকি অর্ডার আগের মতই থাকবে। এমন একটি চিন্তা ঘুরছে টিম ম্যানজম্যান্টের মাথায়।

এদিকে সৌম্য ওয়ানডাউনের স্বচ্ছন্দে খেলছেন। স্কটল্যান্ডের সাথে বিজয়ের ইনজুরির কারনে যে এক ম্যাচে ওপেনিং করেছিলেন সে ম্যাচে হয়েছেন ব্যর্থ। কাজেই সৌম্যের জায়গা বদলটা বুমেরাং হয় কিনা সে ভাবনাও কাজ করছে, এ কদিনে কন্ডিশনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ায় ইমরুলকেই রেখে দেয়া সমীচিন হবে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।

৮ ব্যাটম্যান নিয়ে খেললে নাসির খেলবেন অবধারিতভাবেই, সঙ্গে অকেশনাল অফ স্পিনের সুবিধা তো আছেই। ভারতীয় দলে বাঁহাতি রায়না ব্যাট করেন ৫ নম্বরে। তাঁর কথা ভেবেই নাসিরের অফস্পিনকে কাজে লাগানোর চিন্তা হচ্ছে জোরালোভাবে, সেক্ষেত্রে শফিউলের বিশ্বকাপে নামার সম্ভবনা আরও কমে গেল সম্ভবত।

এমসিজিতে টস অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে। বড় রান চেজে করে জেতায় ভারত বিশ্বের অনন্য এক দল। যদিও ভারতের সাথে রান চেজ করে একধিক ম্যাচ জেতার রেকর্ডও আছে বাংলাদেশের।

আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আগে ফিল্ডিং করাই ভালো হবে। আবার মেলবোর্নের মাঠে আগে ব্যাট করা দলের জয়ের পাল্লাই ভারী। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাঠে পরে ব্যাট করার চাপ নিতে চায়না বেশিরভাগ দলই, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের মত হাই ভোল্টেজ ম্যাচে বড় রান তাড়া করাও চাপের ব্যাপার।

এ সব বিষয়েও তাই কৌশলে হাঁটছে বাংলাদেশ দল। কোচ, সহকারি কোচ অধিনায়ক সবাই মিলে ব্যস্ত আছেন সঠিক কৌশল নির্ধারণে।

তবে সফল কৌশল বাস্তবায়ন করতে দরকার সঠিক প্রয়োগ ক্ষমতা। যা করতে হবে ১১ জন টাইগারকেই। দলে কোন ইনজুরি সমস্যা নেই। মানসিকভাবেও নির্ভার আছেন প্রত্যেকে। এখন দেখার বিষয় মাঠে সেটার কতটুকু প্রয়োগ ঘটে! 
 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত