সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক

২৮ জুন, ২০১৬ ০৪:১৪

কোয়ার্টার ফাইনালে আইসল্যান্ড

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে আইসল্যান্ড।

সোমবার রাতে ইউরো আসরের অন্যতম ফেভারিট ইংলিশদের বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ গোলে জিতে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে তারা।

সেরা ষোলোর এই ম্যাচে ওয়েইন রুনির পেনাল্টি গোলে পিছিয়ে পড়ার এক মিনিট পরেই রাগনার সিগার্ডসনের গোলে সমতায় ফেরে আইসল্যান্ড। কিছুক্ষণ পরে কোলবেইন সিথোরসোনের গোলে এগিয়ে যায় ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় প্রথম খেলতে আসা দলটি। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধান ধরে রেখেই জয় নিশ্চিত করে তারা।

ফ্রান্সের নিসে আক্রমণ, প্রতি-আক্রমণে শুরু থেকেই জমে ওঠা ম্যাচে ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় পঞ্চম মিনিটে।

সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বলের পিছু ছোটা রাহিম স্টার্লিংকে বক্সের মধ্যে গোলরক্ষক ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়লেও রুনির গতিময় শট আটকাতে পারেননি হালডোরসোন। ইংল্যান্ডের হয়ে এটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ডের ৫৩তম গোল।

ইংল্যান্ডের এগিয়ে যাওয়ার আনন্দের স্থায়ীত্ব ছিল মাত্র ৬০ সেকেন্ড। সতীর্থের ফ্রি কিক কাওরি আর্নাসনের মাথা ছোঁয়ানোর পর গোলমুখে পেয়ে যান সিগার্ডসন। সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি আইসল্যান্ডের এই ডিফেন্ডার।

অষ্টাদশ মিনিটে নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া করতে করতে বোভারসনের পাসে নীচু শট নেন সিথোরসন। বল জো হার্টের হাত ছুঁয়ে গড়াতে গড়াতে ঠিকানা খুঁজে পায়।

৬০ মিনিটে স্টার্লিংকে তুলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা জেমি ভার্ডিকে নামান হজসন। দশ মিনিট পর বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকেও নিয়ন্ত্রণ হারান লেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড। একটু পর আইসল্যান্ডের ডিফেন্ডার বিরকির সাভারসনের দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ বাড়ালেও গোল অধরা থেকে যায় ইংল্যান্ডের। ৭৫তম মিনিটে ভার্ডির দুর্বল হেড গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমে যায়। একটু পর টটেনহ্যামের ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।

প্রতি-আক্রমণ থেকে ৮৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করেন আইসল্যান্ড অধিনায়ক অ্যারন গুনারসন। বক্সের মধ্যে সঙ্গে লেগে থাকা জ্যাক উইলশায়ারকে কাটিয়ে এই মিডফিল্ডারের নেওয়া শট রুখে দেন জো হার্ট।

এদিকে এ জয়ে প্রথম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল আইসল্যান্ড। ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম দেখায় ১-১ গোলে ড্র করেছিল আইসল্যান্ড। আর ২০০৪ সালে ৬-১ ব্যবধানে উড়ে গিয়েছিল তারা। এ হারে ইউরোপ সেরার আসরে ১৯৬৮ সালে তৃতীয় হওয়াই সেরা সাফল্য হয়ে থাকল ইংল্যান্ডের।

আগামী ৩ জুলাই সেমি ফাইনালের লক্ষ্যে স্বাগতিক ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে আইসল্যান্ড।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত