স্পোর্টস ডেস্ক

০২ আগস্ট, ২০১৬ ১১:৪৩

বাউজার হাতে আর্জেন্টাইন ফুটবল

ফিফা র‍্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দেশটির সাবেক ডিফেন্ডার এদগার্দো বাউজা।

সোমবার (১ আগস্ট) রাতে এ তথ্য জানায় আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)।

শুধু জাতীয় দল নয়, আর্জেন্টিনার ফুটবলেই চলছে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা। কোপা আমেরিকার ফাইনালের আগমুহূর্তে বরখাস্ত হয়েছিলেন এএফএর তখনকার প্রধান, যিনি নিজে প্রহসনের এক নির্বাচন দিয়ে এসেছিল দায়িত্বে। এত এত প্রতিভা বিশ্ব ক্লাব ফুটবলে ছড়িয়ে দিয়েও আর্জেন্টিনা যে সাফল্য পাচ্ছে না, এর অন্যতম কারণ মনে করা হয় এএফএর অদূরদর্শিতা ও ক্ষমতাভোগী ভাবনাকে। এই ওলট–পালটের মধ্যেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে এএফএর দায়িত্ব নিয়েছেন আরমান্দো পেরেজ। তিনিই বাউজাকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

আর্জেন্টাইন ফুটবলের এমন বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে বাউজার হাতেই দলটির ফুটবল তুলে দিয়েছে এএফএ।

আর্জেন্টিনা অবশ্য কোচ হিসেবে চাইছিল সেভিয়ার হোর্হে সাম্পাওলি, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ডিয়েগো সিমিওনে আর টটেনহামের মাউরিসিও পচেত্তিনোর যে–কাউকে। কোচ হিসেবে এঁরা এরই মধ্যে বিশেষ নজর কেড়েছেন। এমনকি ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি খণ্ডকালীন দায়িত্ব হিসেবে হলেও তাঁদের জাতীয় দলে চেয়েছিল এএফএ। কিন্তু ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের চাপ ও ব্যস্ততার কারণে কেউই রাজি হননি।

এ কারণে জেরার্ডো মার্টিনো সরে যাওয়ার পর বেশ বিরতি দিয়েই শেষ পর্যন্ত বাউজাকে নিয়োগ দিল এএফএ।

সর্বশেষ কোচ হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন ব্রাজিলের ক্লাব সাও পাওলোর। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের আগেই দলকে প্রস্তুত করাটাই হবে এই ৫৮ বছর বয়সীর প্রধান চ্যালেঞ্জ।

সবার আগে নতুন কোচের কাজ হবে লিওনেল মেসিকে আবার মাঠে ফেরানো। গত কোপা আমেরিকার ফাইনালের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান মেসি।

কোচ হিসেবে নিজের প্রতিভার প্রমাণ আগেই দিয়েছেন বাউজা। ২০০৮ সালে ইকুয়েডরের ক্লাব কুইতোকে কোপা লিবার্তাদোরেস জিতিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে একই ট্রফি জেতান আর্জেন্টিনার সান লরেঞ্জোকে।

১৯৮১ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন বাউজা। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ দলেও তিনি ছিলেন। তবে ক্লাব ফুটবলে সফল বাউজা জাতীয় দলের হয়ে বিশেষ কিছু করতে পারে নি। জাতীয় দলের হয়ে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।

আর্জেন্টাইন ক্লাব রোজারিও হয়ে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ৩০০ ম্যাচ খেলে ৮০ টি গোল করেছিলেন বাউজা। দু’বার রোজরিওকে চ্যাম্পিয়নও করেছিলেন। আর্জেন্টিনা ফুটবল ইতহাসে ডিফেন্ডার হিসেবে বাউজা সর্বোচ্চ গোল করায় তাকে সেরা গোল স্কোরিং ডিফেন্ডারের খেতাব দেয় ক্লাব রোজারিও।

পহেলা সেপ্টেম্বর উরুগুয়ের বিপক্ষে বাছাই পর্বের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এদগার্দো বাউজার নতুন অধ্যায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত