স্পোর্টস ডেস্ক

১৬ অক্টোবর, ২০১৬ ১৬:২৭

আফ্রিদি-মিয়াঁদাদ দ্বন্দ্বের অবসান

সব সম্ভবের জায়গা পাকিস্তান ক্রিকেট। এখানে কখন যে কী ঘটবে, তা বলা খুব মুশকিল। পাকিস্তান ক্রিকেটে যে কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়াও তাই যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ।

একটা সপ্তাহ ধরে জাভেদ মিয়াঁদাদ ও শহীদ আফ্রিদির মধ্যে চলল কথার যুদ্ধ। একজন আরেকজনকে ধুয়ে দিলেন। দুজন দুজনের সম্পর্কে গুরুতর অভিযোগও আনলেন। কিন্তু শনিবারের মধ্যেই সব ঠাণ্ডা। দুজনের মধ্যে নাকি ‘সন্ধি’ হয়ে গেছে। আবেগে আপ্লুত হলেন একে অপরের জন্য।

ঝগড়াটা মিয়াঁদাদই বাধিয়েছিলেন। আফ্রিদির বিদায়ী ম্যাচ নিয়ে। এই ম্যাচটা আফ্রিদি টাকার জন্য খেলতে চাইছেন, পাকিস্তানের সাবেক এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের অভিযোগ একেবারেই ভালো লাগেনি আফ্রিদির। পাল্টা অভিযোগ আনলেন সাবেক কোচের বিরুদ্ধে। বললেন, মিয়াঁদাদ একজন ‘টাকার কাঙাল’। আর যায় কোথায়! রাগে-ক্ষোভে মিয়াঁদাদ পাকিস্তানের বিদায়ী টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের বিপক্ষে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ করলেন। বললেন, আফ্রিদি গোটা দলকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে বিক্রি করেছে, এমন তথ্য নাকি তাঁর কাছে আছে।

শনিবার করাচিতে দুজন দেখা করে নিজেদের মধ্যে সব তিক্ততার অবসান ঘটিয়েছেন। জানা গেছে, আফ্রিদির এক চাচা এবং করাচির এক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য পাকিস্তান ক্রিকেটের দুই তারকার মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

আফ্রিদিকে নিজের বাড়িতে ডেকে এনে মিয়াঁদাদ বলেন, ‘আফ্রিদি আমার ছোট ভাই। রাগের মাথায় কি–না–কি বলেছি। আমি ওর সম্পর্কে কিছু বাজে কথা বলেছি। আমি সেগুলো ফিরিয়ে নিচ্ছি।’

আফ্রিদিও তাঁর কথা ফিরিয়ে নিয়েছেন। বলেছেন, ‘জাভেদ ভাইকে আমি সব সময়ই আমার বড় ভাই হিসেবে দেখি। তাঁর কথায় আমি মনে কষ্ট পেয়েছিলাম। আমিও তাঁর সম্পর্কে যা বলেছি, সেটা আমার বলা উচিত হয়নি। আমার কথায় জাভেদ ভাই কষ্ট পেয়েছেন। আমি তাঁর কাছে ক্ষমা চাইছি।’

মিয়াঁদাদ-আফ্রিদির এই সন্ধিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, খুব ভালো লাগছে যে তাঁরা দুজন নিজেদের মধ্যকার সমস্যাটা মিটিয়ে ফেলেছে। দুজনই বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে এসে অনেক কিছুই বলছিলেন, যা পাকিস্তান ক্রিকেটের ইমেজের ক্ষতি করছিল।

আফ্রিদির চাচা মোহাম্মদ ইকবাল বলেছেন, আসলে ব্যাপারটি গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে, ততটা বড় কিছু নয়। আফ্রিদি মিয়াঁদাদকে বড় ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করেন। মিয়াঁদাদও তাঁকে ছোট ভাইয়ের মতোই দেখেন।
সূত্র: এনডিটিভি

আপনার মন্তব্য

আলোচিত