সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ অক্টোবর, ২০১৬ ১৭:৪৮

স্পট ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে আমিরকে আগেই সাবধান করেছিলেন শোয়েব

স্পট ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে আগেই মোহাম্মদ আমিরকে সাবধান করে দিয়েছিলেন শোয়েব আখতার। ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত লোকেদের চিনিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, তাদের কাছ থেকে শত হাত দূরে থাকতে।

কিন্তু আমির তাঁর কথা শোনেননি। ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ক্রিকেট থেকে শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে হয় তাঁকে।

পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এক সময়ের ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়কে ম্যাচ গড়াপেটার সময় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালের দিকে আমি পাকিস্তানের যে সাজঘর দেখেছি, সেটি ছিল ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে বাজে সাজঘর।’

শোয়েবের মতে, ওই সময় পাকিস্তানের সাজঘরে ক্রিকেট ছাড়া আর সবকিছুরই অস্তিত্ব ছিল, ‘বিশ্বাস করুন এর চেয়ে খারাপ সাজঘর আর হতে পারে না। পরিবেশটাই আমার কাছে বড় অদ্ভুত মনে হতো। ক্রিকেটের বাইরে সবকিছুই চলত। মনযোগ ধরে রাখাই মুশকিল হতো।’

নিজে ম্যাচ গড়াপেটা থেকে সব সময় দূরেই থাকতেন বলে জানিয়েছেন শোয়েব, ‘আমি কখনোই এসবের মধ্যে নিজেকে জড়াইনি। অন্যদেরও বলেছি এসব অন্যায় থেকে দূরে থেকে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে দেশের হয়ে খেলতে।’

মোহাম্মদ আমির সম্পর্কে শোয়েবের মন্তব্য, ‘ওকে আমি আগেই সাবধান করেছিলাম। সন্দেহজনক লোকদের এড়িয়ে চলতে, ম্যাচ গড়াপেটার সম্ভাব্য বিপদের কথাও বলেছিলাম। কিন্তু আমির পাত্তা দেয়নি। সেও পরে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ল।’

সম্প্রতি জাভেদ মিয়াঁদাদ ও শহীদ আফ্রিদির ‘ঝগড়া’ পাকিস্তান ক্রিকেটের অনেক ক্ষতি করতে পারত বলে মনে করেন শোয়েব, ‘এই ঝগড়াটা খুব বাজে পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। আফ্রিদি জাভেদ ভাইকে আদালতে নিলে তা “প্যান্ডোরার বাক্স” খুলে দিত। অন্য অনেক ক্রিকেটারই এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ত। আখেরে পাকিস্তান ক্রিকেটেরই ক্ষতি হতো তাতে।’

এই দুই সাবেক ক্রিকেটারের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলতে নিজের ভূমিকার কথাও জানিয়েছেন শোয়েব, ‘আমি নিজে আফ্রিদি আর জাভেদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আফ্রিদিকে বলেছি ব্যাপারটি আদালতের বাইরে মিটিয়ে ফেলতে, জাভেদ ভাইকে বলেছি তিনি যেন রাগ সামলে রাখেন। তাঁর মতো মানুষের মুখে যে সব ধরনের কথা মানায় না, সেটি খেয়াল রাখতে।’
সূত্র: এনডিটিভি

আপনার মন্তব্য

আলোচিত