ক্রীড়া প্রতিবেদক

২০ অক্টোবর, ২০১৬ ১২:১০

মিরাজ-সাকিবের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশের আধিপত্য

মঈন আলীকে ফিরিয়ে ৮৮ রানের জুটি ভেঙ্গেছেন মেহেদি মিরাজ। ১০৬ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর জনি বেয়ারস্টো-মঈল আলী মিলে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। তবে শতরানের জুটি গড়ার আগেই আবার আঘাত হেনে বাংলাদেশকে খেলায় রেখেছেন অভিষিক্ত মিরাজ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচে এই টেস্টে টার্ন থাকার সম্ভবনা আগে থেকেই ছিল। বাংলাদেশেরও আবদার ছিল টার্ন যেন থাকে। তবে সেটা একাবারেই প্রথম সেশন থেকে হবে বলে ভাবেনি কেউ।


টস জিতে পাটা পিচ দেখে নির্দ্বিধায় ব্যাটিং নেয়া অ্যালিস্টার কুক কিছুক্ষণ পরই টের পেলেন ঘুর্ণির বাস্তবতা। অভিষিক্ত মেহেদি হাসান মিরাজের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে পরিষ্কার বোল্ড আরেক অভিষিক্ত বেন ডাকেট। এই বলটিই আগাম বার্তা বলে দিচ্ছিল পিচের। দলীয় রান তখন ১৮। এই রানেই সাকিবের ঘুর্ণিতে বোল্ড হয়ে গেলেন ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ড গড়া অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকও।

২১ রানের মাথায় মিরাজের ভেল্কিতে বোকা বনে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লেন গ্যারি ব্যালেন্স। প্রথম আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউতে সাফাল্য পায় বাংলাদেশ। মাত্র ২১ রানেই ইংলিশদের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে আউট করে টেস্ট দীর্ঘ বিরতির পর প্রত্যাবর্তন দারুণ করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ।

তবে এরপরই মঈন আলী ও জো রুট ৬০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। দ্রুত গতিতে রান তুলছেন রুট। লাঞ্চ বিরতী পর্যন্ত ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায়  ২৮ ওভারে ৩ উইকেটে ৮১ রান। তবে লাঞ্চ থেকে ফেরেই সাকিবের বলে একাধিকবার আউট হয়েও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান মঈন আলী। এই ইনিংসে আম্পায়ার তাকে তিনবার আউট দিলেও তিনবারই রিভিউ নিয়ে তিনি সফল হন। তবে রুটকে টিকতে দেননি মিরাজ। স্লিপে সাব্বিরের ক্যাচে পরিনত হবার আগে রুট করেছেন ৪০ রান। ৬৮ রানের ইনিংস খেলা মঈন কট বিহাইন্ড করেন মিরাজ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত