স্পোর্টস ডেস্ক

০১ জুন, ২০১৭ ১৯:১২

ইংল্যান্ডকে ৩০৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলো টাইগাররা

প্রস্তুতি ম্যাচের ‘কালো স্মৃতি’ পাশ কাটিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে জ্বলে উঠলেন তামিম ইকবাল। তাকে সঙ্গ দিতে মুশফিক খেললেন ক্যারিয়ারের অন্যতম একটা সেরা ইনিংস। বাংলাদেশ গড়লো ৩০৫ রানের স্কোর। ওভালের ইতহাস বলছে তিন শতাধিক রান করে এই মাঠে দুই দলের হারার নজির আছে। ১১ বার জিতেছে তিনশ পার করা দল।

২০০৭ সালে এই ইংল্যান্ডই হেরেছিল ৩১৬ তুলেও। ভারত সেদিন পরে ব্যাট করে দুই বল হাতে রেখে দুই উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়।

২০১৬ সালেও ওভাল দেখেছে এমন নজির। সেবার জয় পায় ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার করা ৩০৯ রানের জবাব দিতে নেমে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ১১ বল হাতে রেখে জয় পায় তারা।

দ্বিতীয় ইনিংসের উইকেট প্রথম ইনিংসের তুলনায় একটু বেশি ব্যাটিং সহায়ক হতে পারে। তবু নতুন বলে মাশরাফি, রুবেল, মোস্তাফিজ ফায়দা লুটতে পারলে এই রান বাংলাদেশকে আরেকটি ঐতিহাসিক জয় এনে দিতে পারে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভার মোকাবিলা করতে দাঁড়িয়ে যান তামিম। সকালের এই ওভারটি নিরাপদে পার করেন ওপেনার। এরপর সৌম্যকে নিয়ে তামিম ৫৬ রানের জুটি গড়েন। স্টকসের শর্ট বলে সৌম্য (২৮) ফিরে গেলে ইমরুল মাঠে নামেন। ব্যাটিংয়ে শক্তি বাড়াতেই ইমরুলকে একাদশে রাখা হয়। সেই ইমরুল (১৯) খুব একটা ভালো করতে পারেননি। প্লাঙ্কেটকে উড়িয়ে মারতে যেয়ে মিডঅনে ধরা পড়ে যান। মার্ক উড দারুণ ক্যাচ নেন।

ইমরুল ফিরে গেলে মুশফিক এসে তামিমকে সঙ্গ দেন। ২৮ ওভার শেষে এক পর্যায়ে স্কোরবোর্ডে রান ছিল ১৫০। তামিম ১২৪ বল খেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজের প্রথম শতক হাঁকান। সেঞ্চুরির পরও তাড়াহুড়া করেননি। আরও ২৮টি রান যোগ করেন। প্লাঙ্কেটের বলে বাটলারের হাতে যখন ধরা পড়েন, তখন মুশফিকের সঙ্গে তার জুটি ১৬৬ রানের। তামিম ফিরতেই মুশফিক (৭৯) নড়বড়ে হয়ে যান। ঠিক পরের বলে বড় শট খেলতে যেয়ে লংঅফে ধরা পড়েন।

শেষ দিকে সাকিব (১০) রান বাড়াতে ব্যর্থ হন। ৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে ফিরে যান তিনি। সাব্বির ১৫ বলে করেন ২৪। ৪৯ ওভার শেষে ৩০০তে পা রাখে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে আসে ৫।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত