স্পোর্টস ডেস্ক

১৩ জুন, ২০১৫ ১৪:৫৬

মুমিনুলের বিশ্বরেকর্ড গড়া হল না

বিশ্বরেকর্ড থেকে মাত্র একধাপ দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন মুমিনুল হক সৌরভ। শনিবার ফতুল্লা টেস্টের চতুর্থ দিন হাফ সেঞ্চুরি করতে পারলেই টানা ১২ টেস্টে ফিফটি করার বিশ্বরেকর্ড গড়তে পারতেন তিনি। টানা ১২ টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি করে বিশ্বরেকর্ডটি দক্ষিণ আফ্রিকার ডি ভিলিয়ার্সের দখলে। সেই রেকর্ডে ভাগ বসানোর সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। মাত্র ২০ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন তিনি।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে সৌরভ ছড়িয়ে যাচ্ছেন টেস্টে বাংলাদেশের টপঅর্ডারের আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠা মুমিনুল হক। রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে অন্যরকম এক অনুভূতি অনুভব করছিলেন তিনি। বিশেষ করে এবি ডি ভিলিয়াসের্রর মতো ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়ানো তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। এজন্যই শনিবার নিজের ইনিংসের শুরু থেকে বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে খেলছিলেন মুমিনুল।

নিজের ইনিংসটিকে সেভাবেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন। প্রথমে একটু জড়তা থাকলেও পরে খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসলেন। খেলছিলেন নিজের স্বভাব-ভঙ্গিতে। কিন্তু ৩০ রান করে কি যে এক ভুত মাথায় চেপে বসলো তার। তাইতো নিজের স্বভাব-সূলভ ব্যাটিংয়ের বিরুদ্ধে ডাউন দ্য উইকেটে এসে হরভজন সিংকে তুলে মারতে গেলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। লং-অফে দাঁড়ানো উমেশ যাদবে হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন তিনি।

বাঁ-হাতি এ ছোট-খাটো গড়নের স্বাগতিক ব্যাটসম্যান হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়লেন। তবে তার চেয়েও বেশি হতাশ হয়েছেন ফতুল্লায় খেলা দেখতে আসা দর্শক-সমর্থকরা।

পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্টে অর্ধশতক করে ভারতের কিংবদন্তি তারকা শচীন টেন্ডুলকারকে পেছনে ফেলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘ব্র্যাডম্যান’ খ্যাত এই ব্যাটসম্যান। টানা ১১ টেস্টে অর্ধশতক হাঁকিয়ে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডস, ভারতীয় ব্যাটসম্যান বীরেন্দর শেবাগ ও গৌতম গম্ভীরের পাশে বসেন মুমিনুল।

ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের আগে মুমিনুলের সামনে একটি অনন্য রেকর্ডের মালিক হওয়ার হাতছানি ছিল। ওই রেকর্ডের কাছে গিয়ে ছুঁয়ে দেখা হল না টানা ১২ টেস্টের রেকর্ডটি। অবশ্য এখনো দ্বিতীয় ইনিংস বাকি, তাই রেকর্ড গড়ার সুযোপ পুরোপুরি ফুরিয়ে যায়নি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা মাঠে না গড়ালে রেকর্ডটি না হওয়ার হতাশায় পুড়তে হবে মুমিনুলকে। ফতুল্লা টেস্টের যা অবস্থা তাতে বৃষ্টি হলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস মাঠে গড়ানো নিয়ে থেকে যাচ্ছে এক ধরনের শঙ্কা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত