ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৮ মার্চ, ২০১৮ ১৫:০০

স্বপ্ন পূরণের দিন

ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়েই শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। অবশ্য সেই সময়টা দলের উপর ছিল চাপের বোঝা। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খারাপ সময় পার করার দুঃসহ স্মৃতি ছিল সঙ্গী। তবে শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজে সেইসব গ্লানি দূর করতে পেরেছে টাইগাররা। আয়োজক দেশকে দর্শক বানিয়ে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশ।

আজ দুই দলের শিরোপার লড়াই। আর আজই বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের দিন। এ দিনটি দেখা হয়েছে বহুবার। কিন্তু ট্রফিটি ধরা হইনি একবারও।

শ্রীলঙ্কার রাজধানীর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে মহারণ।

পেছন ফিরলে যদিও কেবল হতাশার অধ্যায়; দেশের মাটিতে ২০০৯ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল, বছর তিনেক পর ২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনাল, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ফাইনাল এবং সবশেষ গত জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পরাজয়। তবু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগের খেলায় ভারতের বিপক্ষে দারুণ লড়াই এবং গত শুক্রবারের (১৬ মার্চ) ‘সেমিফাইনালে’ একেবারে পথ হারিয়েও শেষ পর্যন্ত জয় দারুণ আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। অপরদিকে ভীতি যোগাচ্ছে প্রতিপক্ষ শিবিরে।

মহারণের আগের দিন শনিবার (১৭ মার্চ) দারুণ প্রত্যয় শোনা গেল টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে। শুক্রবারের ম্যাচের উত্তেজনা-বিতর্ক ভুলে যাওয়া সাকিবের ভাবনায় এখন কেবলই ‘ভারত’।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলছিলেন, ‘আমরা যতটা নির্ভার থাকা যায় সে চেষ্টা করছি। টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার জন্য খালো মনে থাকা খুব জরুরি। চাপ নিলেই চাপ, আর চিন্তা না করলে চাপ নয়। আমি নিশ্চিত সবাই অনেক নির্ভার আছে।’

হতাশাকে পেছনে ফেলে সাকিবের ভাবনা সামনের দিকে, ‘কয়েকটা ফাইনাল খেলেছি...। ভারত যদিও খুব ভালো দল। আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভালো ক্রিকেট খেলার, সবাই মুখিয়ে আছে ভালো করতে।’

শুক্রবারের ম্যাচের পর সাকিবরা যেমন মুখিয়ে আছেন শিরোপা জয়ের উজ্জীবনী শক্তিতে, তেমনি আশার প্রদীপ জ্বলছে টাইগারদের সমর্থক শিবিরেও। আর অন্তত ফাইনালে হার নয়। এই ‘নয়’ কি ‘জয়’ হবে না?

আপনার মন্তব্য

আলোচিত